আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং

গোয়াইনঘাটে মুসল্লিদের অপেক্ষায় একটি মসজিদ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৩-২৪ ১৮:১৫:৩৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোয়াইনঘাট :: দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র বিছনাকান্দি। সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাটের শেষ প্রান্তে এবং ভারতের মেঘালয়ের পাদদেশে অবস্থিত বিছনাকান্দি। এক সময় শুধুমাত্র দেশের অন্যতম পাথর কেয়ারি হিসেবে দেশে বিছনাকান্দির পরিচয় ছিল।

কিন্তু  প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের কল্যাণে বিছনাকান্দির পরিচয় দেশের গন্ডি পেরিয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী বিছনাকান্দি ভ্রমন করছেন।

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া-জৈন্তিয়া পাহাড়ে সৃষ্ট সাত পাহাড়ের গহিনে সারি সারি পাথরের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে স্বচ্ছ জলরাশি মূলত ওই স্বচ্ছ ও হিমশীতল জলে নিজেকে ভিজিয়ে নিতে হাজার পর্যটকের সমাগম হয়। বিছনাকান্দি পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ পথে দেশ-বিদেশ থেকে আগত মুসলিম পর্যটকদের আকুতি মিনতিপূর্বক যেন ডাকছে একটি মসজিদ।

পর্যটন কেন্দ্রের অতি সন্নিকটে প্রায় পঞ্চাশ-ষাট বছর পূর্বে স্থানীয় কুলুম ছড়া ও মরকিটিলার মুসলিম পরিবার গুলি মরকিটিলা জামে মসজিদ নির্মাণ করে ছিলেন। দীর্ঘ দিন এই জামে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও জুমআর নামাজ আদায় করতেন স্থানীয়রা। ছোট ছোট সোনামণিরা সকালে ওই মসজিদের মক্তবে কালেমা, ছুরা,কালাম ও কোরআন পড়তেন।

প্রতিদিন মক্তবের ছোট ছোট সোনামণিদের পড়ার আওয়াজে চতুর্দিক  মূখরিত হতো। আস্তে আস্তে মরকিটিলা জামে মসজিদের চতুর্দিকে পড়ে পাথর খেকোদের লুলোপ দৃষ্টি। পাথর খেকো চক্রের ওই লুলোপ দৃষ্টিতে বিলীন হয়ে যায় মসজিদ সংলগ্ন সবকয়টি গ্রাম। ফলে এ মসজিদ টি যেন সর্বদা মুসল্লিদের ডাকছে।

মসজিদের পুর্ব,পশ্চিম ও উত্তর দক্ষিণ এখন সমুদ্রজলে পরিনত হয়েছে। মসজিদটি নিজ অবস্থান থেকে যেন এখনও মুসল্লিদের ডাকছে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৪ মার্চ ২০১৯/এমএএম/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন