আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

আশফাকের আশ্বাস: সাহেবেরবাজার-হরিপুর সড়কের কাজ দ্রুত শেষ হবে

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৪-১৫ ০১:১৭:৫৭

ইদ্রিছ আলী :: খালি ছবি তুলি কিতা করবা? কত ছবিউতো তুলা অইল কোন কাম অইলনা। রাস্তার ছবি তুলতে গেলে এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করলেন একজন। সাড়ে ৩ বছরেও সংস্কার কাজ শেষ না হওয়া শহরতলির সাহেবেরবাজার-ধোপাগুল-হরিপুর সড়কের ছবি তুলতে গেলে আরো কয়েকজন অধিবাসীর ব্যাঙ্গ করে নানা কথা বললেন।

সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক মালবাহি ট্রাক, মিনি ট্রাক, মাইক্রোবাস, অটোরিক্সাসহ অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। এর সংস্কার কাজ ৩ বছর আগে শুরু হলেও অপরিকল্পিতভাবে কাজ করায় মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।

স্থানীয় ভাষায় আক্ষেপ করে কথাগুলো বলেন সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া জরুরী প্রয়োজনে রোগী নিয়ে যেতে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অনেক সময় বিকল্প পথে অতিরিক্ত ঘুরে যেতে হয়। বড়বড় গর্তে ছোটখাটো পুকুরের কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ক্রাশার মিলের পানি সড়কে জমে যাচ্চেতাই অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। দিনের পর দিন এ অবস্থা চলতে থাকলেও সেদিকে নজর নেই সংশ্লিষ্টদের।

জানা গেছে, ধোপাগুল থেকে সীমারবাজার সদর অংশ পর্যন্ত সড়কটি ৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। গত সাড়ে তিন বছরে ৭ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে প্রায় ৬ কিলোমিটারের কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০১৯ সালের প্রায় ৪ মাস অতিক্রম হলেও কাজটি এখনো অসমাপ্ত। যেটুকু কাজ হয়েছে তাও নিম্নমানের। ইতিমধ্যেই ভাঙন শুরু হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ক্রাশার মিলের পানি সড়কের বিভিন্ন স্থানে জমে আছে। এতে সড়কে কাদা তৈরি হয়ে পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছে। এদিকে প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে কেবল স্থানীয়রাই চলাচল করেন না, গোয়াইনঘাট উপজেলার মানুষজনসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকরাও রাস্তাটি ব্যবহার করেন। এই রাস্তায় জাফলং রাতারগুল ও মায়াবী ঝর্ণায় যাওয়া যায়।

সিলেটে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ বলেন,আমি ব্যক্তিগত ভাবে ও স্থানীয়দেন সাথে নিয়ে রাস্তার কাজ আজ শুরু করেছি। ইনশাআল্লাহ কয়েক দিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে। ।

গত ৫ এপ্রিল দুপুরে সরজমিনে সড়কটি পরিদর্শন করেন, রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়া, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আনিছুর রহমান, হাইওয়ে ইঞ্জিনিয়ার তৌহিদ জামিল, কনসালট্যান্ট ঠিম লিডার মো. আব্দুল মোতালেব।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ১৫ এপ্রিল ২০১৯/আইএ/এক

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন