আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

সিলেটের চা শিল্পে সুদিন ফিরেছে, লক্ষ্যমাত্রা ছাড়ানো উৎপাদন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৪-১৯ ১৯:৪৪:১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটে এবার চা'র উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। ইতিহাসে এবার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ড স্বাক্ষ্য দয়ে এ শিল্পে সুদিন ফিরেছে। । উৎপাদনের এই ধারা ধরে রাখতে পারলে আবারও বিশ্ববাজার পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ চা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে দেশের ১৬৬টি বাগানে ৮ কোটি ২১ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উৎপাদন। সেবছর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭ কোটি ২৩ লাখ ৯০ হাজার কেজি। উৎপাদন প্রায় ৮৯ লাখ কেজি।

এরআগে, ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ ৮ কোটি ৫০ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছিল। তবে এই ধারা বজায় রাখতে না পারায় ২০১৭ সালে চা উৎপাদন কমেছিল। সেবার উৎপাদন হয়েছিল ৭ কোটি ৮৯ লাখ কেজি।

বিশ্বাবাজারে বাংলার চায়ের একচেটিয়া আধিপত্য ছিল একসময়। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববাজার থেকে ছিটকে পড়েছিল বাংলাদেশ। শূন্যের কোঠায় নেমে আসতে শুরু করে রপ্তানির পরিমাণ।

এরই ধারাবাহিতকায় ২০১৫ সালে চা রপ্তানি হয়েছে মাত্র দশমিক ৪৯ মিলিয়ন কেজি। চা শিল্পকে ফিরিয়ে আনতে ২০১৫ সালেই মহাপরিকল্পনা নিয়েছিল সরকার।

‘চা শিল্পের উন্নয়নে পথনকশা’ নামে একটি কর্মকৌশল তৈরি করা হয়েছিল। ১৫ বছর মেয়াদি পথনকশায় চায়ের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৩২ মিলিয়ন কেজি।

রপ্তানির টার্গেট ছিল ২৫ হাজার মিলিয়ন। চা বোর্ড সূত্র জানায়, বর্তমানে ৫২ হাজার হেক্টর জমিতে চা চাষ হচ্ছে। ২০১২ সালে হয়েছিল ৫০ হাজার হেক্টরে।

গত তিন বছরে দেশে গড়ে বছরে ১২ হাজার মিলিয়ন কেজি চা বেশি উৎপাদিত হয়েছে। চা সংসদের সিলেট বিভাগের চেয়ারম্যান জি এম শিবলী এ ব্যাপারে বলেন, ‘বাগানমালিকরা এখন পুরনো চা গাছ তুলে নতুন চারা লাগাচ্ছেন। বাগানের পরিধিও বাড়ানো হচ্ছে, যে কারণে চায়ের উৎপাদন বাড়ছে। ’

তিনি বলেন, ‘সত্তরের দশকে দেশে চায়ের উৎপাদন ছিল ৩০ মিলিয়ন কেজি। আর অভ্যন্তরীণ চাহিদা ছিল মাত্র ৫ মিলিয়ন কেজি। তখন চা রপ্তানি করা যেত। আর এখন আমাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ৮৫ মিলিয়ন, আর উৎপাদন হচ্ছে ৮২ মিলিয়ন। তা হলে রপ্তানি করব কীভাবে?

চা-বাগানের মালিকরা জানান,  ‘এ শিল্পে আবার আশার আলো দেখা যাচ্ছে। উৎপাদনের এই ধারা অব্যাহত থাকলে অবশ্যই আবার বিদেশে চা রপ্তানি সম্ভব।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপপরিচালক (পরিকল্পনা) মো. মুনির আহমেদ বলেন, ‘ওই পথনকশার পথ ধরেই চা শিল্প এগিয়ে যাচ্ছে। পথনকশা না করলে এ বছর আমাদের উৎপাদন থাকত ৬৫ মিলিয়ন কেজি। ’

তিনি বলেন, ‘বাগানমালিকরা এখন চায়ের প্লানটেশন বাড়াচ্ছেন। বিশেষ করে পঞ্চগড়ের দিকে চায়ের প্লানটেশন অনেক বেশি হয়েছে।'

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ১৯ এপ্রিল ২০১৯/এক




@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন