আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং
ইদ্রিছ আলী :: প্রস্তুত দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান নাগরিকবৃন্দ।
রবিবার দিবাগত রাতে তারা পালন করবেন ইসলামের অন্যতম মহিমান্বিত রাত পবিত্র
শবই-বরাত। মাংস-শিরনীসহ নানা মুখরোচক খাবার তৈরিতে ব্যস্ততা এখন প্রায় সব
পরিবারে।
এই রাতে প্রায় সবাই নফল নামাজ, কোরআন তেলওয়াত ও মোনাজাত করেন। পরদিন অনেক মুসলিম নারী ও পরুষ রোজা রাখেন।
রবিবার
সূর্যাস্তের পরপরই শুরু হবে শব-ই-বরাতের আবহ। মসজিদগুলো ভরে যাবে
মুসল্লিতে। ইমাম সাহেবগণ শুরু করবেন বিশেষ বয়ান। মুসল্লিরা নামাজ আদায়
করবেন। এছাড়াও বাবা-মাসহ আত্মীয়দের কবর জিয়ারতও শব-ই-বরাতের অন্যতম
বৈশিষ্ট্য।
হযরত শাহজালাল (র.)হযরত শাহপরান (র.) ও গাজী বোরহান
উদ্দিন (র.) মাজারসহ ধোয়া-মোছার কাজ শেষ হয়েছে। আলোকসজ্জা করা হবে মসজিদ,
মাজার, খানকাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে।
পবিত্র শব-ই-বরাত মুসলামানদের
কাছে লাইলাতুল বরাত নামেও পরিচিত। আরবি শব্দ লাইলা অর্থ রাত। ফার্সি শব্দ
শব অর্থও রাত। আর বরাত অর্থ ভাগ্য।
শাবান মাসের ১৪ তারিখের এ রাতকে
নাজাতের রাত হিসেবে অবহিত করেন ইসলামী চিন্তাবিদরা। এ রাতে সৃষ্টিকর্তার
কাছে পাপ থেকে মুক্তি কামনা করে সবাই বিশেষ মোনাজাত ও ইবাদতে মশগুল থাকেন।
শব-ই-বরাত প্রসঙ্গে জালালাবাদ থানার মইয়ারচর মাদরাসায়ে তৈয়বিয়া
তাহেরিয়া হেলিমিয়া-সুন্নিয়ার অধ্যক্ষ, মওলানা জালালুদ্দিন আল কাদরী বলেন,
পবিত্র শব-ই-বরাতের বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা কোরআন শরিফ ও হাদিসের আলোকে
প্রমাণিত। বান্দার ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট দিন ও
রাত আল্লাহ তায়ালা দান করেছেন। দিনের মধ্যে ঈদ-উল-ফিতর, ঈদে মিলাদুন্নবী
(দ.), আশুরার দিন, আরাফার দিন, জুম'আর দিন। রাতের মধ্যে শব-ই-কদর,
শব-ই-মিরাজ, শবে বরাত ও দুই ঈদের রাত। মূলতঃ এই দিবস ও রজনী আমাদের
প্রাণের চেয়েও প্রিয় নবী (স.)-কে দেওয়া আল্লাহর বিশেষ উপহার। এসব উপহারের
মর্যাদা যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে গুনাহ থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহর নৈকট্য
হাসিলের সৌভাগ্য অর্জন করাই সবার লক্ষ্য হওয়া উচিৎ।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ২০ এপ্রিল ২০১৯/ইএ/এক