আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

মাধবপুর-বিজয়নগর সড়কের ব্রীজটি যেন মরণফাঁদ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৪-২১ ১৫:০০:৪৮

মাধবপুর প্রতিনিধি :: মাধবপুর ও বিজয়নগর উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ বিকল্প সংযোগ পথ মির্জাপুর-হরষপুর সড়ক। এই সড়ক দিয়ে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ ও শত শত ছোট বড় যানবাহনের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম।

এ সড়কের পাশে একাধিক বড় বাজার, নৌঘাট, স্কুল-মাদ্রাসা ও রেলওয়ে স্টেশন অবস্থিত। হরষপুর রেলওয়ে স্টেশনের পশ্চিম পাশে কাইক্যাছড়া খালের উপর অবস্থিত ব্রীজটি চলাচলের জন্য বর্তমানে সম্পূর্ণ অযোগ্য। এরপরও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হওয়ায় এ ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজ দিয়েও প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে অসংখ্য মানুষ।

রেলওয়ে স্টেশনের পশ্চিমপাশ্বের কাইক্যাছড়া ব্রীজটির পশ্চিমাংশ ভেঙ্গে ফাঁকা হয়ে রড বের হয়ে আছে। এ ব্রীজটির পূর্বাংশ ফাটল সৃষ্টি হওয়ার পর প্রায় ৬ মাস পূর্বে পুনঃনিমার্ণ করা হয়। কিন্তু পূর্বাংশ পুনঃনিমার্ণ করার কিছু দিন যেতে না যেতেই ব্রীজের পশ্চিমাংশের অর্ধেক অংশে ফাটল দেখা দেয়। তবে ক্রমান্বয়ে ব্রীজের ফাটল বড় হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে ব্রীজ ভেঙ্গে রড বেড় হয়ে কঙ্কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তবে ব্রীজের পশ্চিমাংশে ফাঁকা অংশে ষ্টিলের একটি ম্যাকার দেওয়া থাকলেও জনগনের তেমন কোন কাজে আসছে না। এর মধ্যে ব্রীজের ভাঙ্গা অংশে কিছু গাছের খুঁড়ি, ইটের কংক্রিট পেলে রাখা হয়েছে। ব্রীজের পশ্চিমাংশের প্রায় ১২ ফুট জায়গা ভেঙে ফাঁকা হয়ে এলোমেলো অবস্থায় রড বের হয়ে আছে। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ পথচারিরা পাড়ি দিচ্ছে এ ব্রীজের উপর দিয়ে। ব্রীজটি ঝুঁকিতে থাকায় বিজয়নগর ও মাধবপুর উপজেলার হাজার হাজার পথচারী পড়েছে মারাত্মক ঝুঁকিতে।

ব্রীজটির নিয়মিত যাতায়াতকারী ধর্মঘর ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী পপি আক্তার বলেন, ব্রীজটি ভাঙ্গা থাকায় আমরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রীজ পার হই। তাই এ ব্রীজটি তাড়াতাড়ি সংস্কার করা প্রয়োজন। যে কোন মূহুর্তে ব্রীজটি ভেঙ্গে যাতায়াত ব্যবস্থা অচল হয়ে যেতে পারে।

বেগম রোকেয়া মেমোরিয়াল কিন্ডার গার্টেনের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সামিয়া বলেন,  খুব ভয় লাগে, ভাঙ্গা ব্রীজ দেখে। 

মানুষজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ মরণফাঁদ অতিক্রম করছেন। বড় কোন দূর্ঘটনা ঘটার আগেই এ ব্রীজটির মেরামত করা হবে এমনটাই জনগণের প্রত্যাশা।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/২১ এপ্রিল ২০১৯/এসসি/এসডি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন