আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

কর্মগুনে শেষ বয়সে এসেও মর্যাদার আসনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৪-২৩ ০০:৪৬:২৬

এম এ মতিন, গোয়াইনঘাট :: ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতার যুদ্ধে জীবন বাজী রেখে অংশগ্রহন করেছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে দেশের অস্থিত্ব রক্ষায় মা, বাবা, ভাই, বোন, স্ত্রী, সন্তানসহ আত্মীয় স্বজন রেখে যান অজানা ঠিকানায়।

পাক-হানাদার বাহীনির সাথে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ চলে। এ যুদ্ধে ত্রিশ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছিলেন। দুই লাখ ত্রিশ হাজার মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত হয় মহান স্বাধীনতা। দেশ স্বাদিকার আন্দোলনে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে অনন্য অবদান রাখায় বীরমুক্তি যোদ্ধাদের সম্মানে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার অসচ্ছল মুক্তি যোদ্ধাদের জন্য সম্মানী ভাতা চালু করে।

এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি সুযোগ সুবিধা চালু করে। মুক্তি যোদ্ধাদের দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরই ধারাবাহীকতায় ২০০৯ সালে দেশের তালিকাভূক্ত সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা চালু করে আওয়ামী লীগ সরকার। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা প্রদানের মাধ্যমে জাতির শ্রেষ্ট সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে সরকার। চাকুরী ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জন্য আলাদা কোঠা রয়েছে। বিনা সুদে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকার ঋনের ব্যবস্থা চালু করেছে। এদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলায় বর্তমানে ৭০৫ জন বীর মুক্তি যোদ্ধা প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা করে এবং ৪৪ জন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ২৫ হাজার টাকা করে সম্মানী ভাতা পান। এছাড়া অস্বচ্ছল বীর মুক্তি যোদ্ধাদের গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। ফলে শেষ বয়সে এসেও বীরমুক্তি যোদ্ধাগন পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের কাছে সম্মানের পাত্র হয়ে আছেন।

সাধারণত আমাদের সামাজিক ব্যবস্থায় ৬০/৬৫ বছর বয়সে পৌছলে অনেকের পরিবারে বয়স্ক পিতা পরিবারের বুঝা হয়ে দাঁড়ান। কিন্তু বীরমুক্তি যোদ্ধাগন নিজ কর্মগুনে পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে অতি সম্মানিত হয়ে রয়েছেন। তারা মারা যাওয়ার পরও সন্তানেরা গর্ভের সাথে নিজ পিতার পরিচয়ে ঘুরে বেড়ান।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৩ এপ্রিল ২০১৯/এমএএম/এসডি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন