আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

পর্দা নামলো সিলেট চলচ্চিত্র উৎসবের, পুরস্কার পেলেন যারা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৪-২৬ ১৯:৫১:৫৯

সিকৃবি প্রতিনিধি :: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ-এর আয়োজনে মঙ্গলবার শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী তৃতীয় সিলেট চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা নেমেছে শুক্রবার। স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণকে উৎসাহ দেয়ার লক্ষ্যে গত দু’বছর যাবত এ উৎসব আয়োজিত হয়। এবার প্রথম দুই দিন চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও কর্মশালা এবং তৃতীয় দিন সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। শেষে উৎসবের মেয়াদ আরও একদিন বাড়িয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসবস্থলে পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়।

এবার উৎসবে সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র (বাংলাদেশী) বিভাগে পুরস্কার জিতেছে ফারহা জাবিন পরিচালিত ‘ড্রিড’, সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র (আন্তর্জাতিক) বিভাগে পুরস্কার জিতেছে ভারতীয় নির্মাতা শ্রীরাম এসজি পরিচালিত ‘খিলুয়ানা’। শ্রীরাম এসজি একইসাথে সেরা স্ক্রিপ্ট রাইটারের পুরস্কারও পেয়েছেন একই চলচ্চিত্রের জন্য। এছাড়া সেরা প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার জিতেছে ভারতীয় নির্মাতা বিজয় চৌধুরী পরিচালিত ‘ক্ষত’। শিশু চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগে সেরা হয়েছে ফয়সাল আহমেদ পরিচালিত ‘নীল’। ‘ইতিবৃত্ত কিংবা বাস্তবতার পুনরারম্ভ’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা চিত্রগ্রাহকের পুরস্কার জিতেছেন সুমন সরকার।

‘কথক মায়া’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা সম্পাদকের পুরস্কার জিতেছেন দেবাশীষ দাস। শুভ্রা গোস্বামী পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘ভালবাসা’তে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার গেছে মৌসুমী হামিদের হাতে এবং শরত পারাইল পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘ফিলিংস’-এ অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন চন্দন সিং রাজপুত।

বিজয়ী ও তাদের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মতিয়ার রহমান হাওলাদার। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক নাজিম উদ্দিন আহমেদ, চলচ্চিত্র সংসদের উপদেষ্টা শহীদুল্লাহ কায়সার, সরকার মো. ইব্রাহিম খলিল ও তৌফিকুর রহমান।

প্রধান অতিথি বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘সিলেট চলচ্চিত্র উৎসব স্বাধীনধারার তরুণ নির্মাতাদের জন্য একটা নতুন দুয়ার খুলেছে। এই উৎসব ইতিমধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আগামীতে নতুন প্রজন্মের নির্মাতাদের স্বীকৃতি দিতে এই উৎসব ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও রাজধানীর বাইরে এমন আন্তর্জাতিক উৎসব চলচ্চিত্রের দর্শকশ্রেণী তৈরি করতে পারবে।’

সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হয়।

প্রসঙ্গত, এবারের আসরে বিশ্বের ১১১টি দেশ থেকে স্বল্প ও পূর্ণদৈর্ঘ্য ৩০৩৬টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল।  যার মধ্যে থেকে বাছাইকৃত ৯৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও চারটি পূর্ণদৈর্ঘ্য মিলেয়ে মোট ১০০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। জুরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র নির্মাতা আশরাফ শিশির, অভিনেতা মনোজ কুমার, নির্মাতা মুক্তাদির ইবনে সালাম ও ভারতীয় চলচ্চিত্র সমালোচক সিদ্ধার্থ মাইতি। উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল সিলেটের জনপ্রিয় ফ্যাশন হাউজ ‘মাহা’।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৬ এপ্রিল ২০১৯/এসআর/আরআই-কে

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন