আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

সিলেটে ঈদের হাওয়া: প্রস্তুত মার্কেট-বিপণীবিতান, ক্রেতা-বিক্রেতা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৫-২১ ০০:৩৩:০০

এনামুল কবীর :: এমন সময়ে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। পবিত্র রমজানের অর্ধেক পেরোতে না পেরোতেই সিলেট নগরীতে শুরু হয়েছে ঈদের আমেজ। রাস্তা বা মার্কেটে মার্কেটে দর্শণাথীর সংখ্যা বাড়ছে।

সোমাবার রাত সাড়ে ১০টার দিকেও নগরীর জিন্দাবাজর পয়েন্টে যানজট দেখা গেছে। নগরীর মার্কেট বিপণীবিতানগুলো আকর্ষণীয় করে সাজানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি মার্কেট সাজানো শেষ।

এদিকে ঈদের এই ব্যস্ততম সময়টাকে টার্গেট করে ওঁৎপতে থাকা চোর-ছিনাতইকারী ও চাঁদাবাজ চক্রকে মোকাবেলায় সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশও বিশেষ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

বিশ্ব মুসলিমের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। প্রতিবছর এই ঈদকে কেন্দ্র করে সারাদেশে কেনাকাটার ধুম পড়ে। যথারীতি সিলেটবাসীও কেনা-কাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বিশেষ করে রমজানের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয় এই ব্যস্ততা। চলে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত। শেষ সময়টাতে এসেতো রাতদিন প্রায় সমান হয়ে যায়।

এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। রাস্তায়-রাস্তায়, মার্কেট বা বিপণীবিতানগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা বাড়তে শুরু করেছে।

রমজান শুরুর পর প্রথম কয়েকদিন গোটা সিলেট নগরী ছিল মৃতপ্রায়। রাস্তায় তেমন যানবাহন যেমন ছিলনা, তেমনি অধিকাংশ মার্কেট বা বিপণীবিতানগুলো দিনের বেশীরভাগ সময়ে বন্ধ থাকতে দেখা গেছে।

গত দুই/তিন দিনে অবস্থা পাল্টাতে শুরু করেছে। বরাবরই এমনটা হয়। হচ্ছে এবারো। লোকজন কেনাকাটায় বের হচ্ছেন। প্রায় তরুণ-তরুণী যুবক-যুবতি শিশু-কিশোরদের যেমন দেখা যাচ্ছে রাস্তায় রাস্তায়, তেমনি তারা ভিড় করছে বিভিন্ন মার্কেট বা বিপণীবিতানগুলোতে।

অবশ্য আপাতত তারা কেনাকাটার বদলে কেবল দেখছেন। নতুন জামা-জুতোর কি এলোনা না এলো, বা কি আসছে সেই খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।

এদিকে ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে সিলেট মহানগরীর প্রায় প্রতিটি মার্কেট-বিপণীবিতানে আলোকসজ্জাসহ আকর্ষণীয় তোরণ নির্মাণ বা সাজগোজ যেনো ঈদ ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।

কোন মার্কেট কত সুন্দর করে সাজানো হয়েছে তারও একটি অলিখিত প্রতিযোগিতা চলে। তাও শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে নতুন পুরানো বেশ কয়েকটি মার্কেট সাজানো হয়েছে আকর্ষণীয় তোরণ আর আলোকসজ্জায়।

এক্ষেত্রে এগিয়ে সিলেটের প্রাণকেন্দ্র হিসাবে পরিচিত বন্দর- জিন্দাবাজারের মার্কেটগুলো। ইতিমধ্যে বন্দরবাজারের হাসান মার্কেট, মধুবন সুপার মার্কেট, শুকরিয়া, সিলেট প্লাজা, লতিফ সেন্টার, ব্লু-ওয়াটার, মিলেনিয়াম ও আলহামরা শপিং সিটির সাজ-সজ্জা নগরবাসীর নজর কেড়েছে। নজর কেড়েছে অভিজাত ব্র্যান্ড হাউসের পাড়া হিসাবে পরিচিত নয়াসড়ক ও বারুতখানা এলাকাও।

সিলেটবাসীর কেনাকাটার ব্যস্ততা শুরুর সাথেসাথে চোর-ছিনতাইকারীদের উৎপাতও বেড়ে যায়। প্রায় প্রতিবছর তাই হয়। সাথেসাথে তাদের মোকাবেলায় এসএমপিসহ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বিশেষ প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামে। এবারো তাই হচ্ছে।

রমজান উপলক্ষে এমনিতে বাড়তি নিরাপত্তা প্রস্তুতি রয়েছে সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশের। এরসাথে যোগ হবে ঈদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাস্তায় রাস্তায় মার্কেটে মার্কেটে বা বিপণীবিতানগুলোতে র‌্যাব-পুলিশ, বিজিবি, আর্মস পুলিশ ব্যাটালিয়নের সমন্বয়ে টহল জোরদার করা হবে। পাশাপাশি যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় রিজার্ভ পুলিশকেও প্রস্তুত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন এসএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুসা।

তো, সাধারণ মার্কেট বিপণীবিতানগুলোর এমন প্রস্তুতি যখন তখন বিশেষ শ্রেণীইবা পিছিয়ে থাকবেন কেন? উচ্চ মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত শ্রেণীর জন্য বিভিন্ন হোটেলে ঈদকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন আগ থেকেই শুরু হয়েছে বিশেষ ইভেন্ট, ঈদ ফ্যাস্টিভাল।

সিলেটের সংস্কৃতিতে নতুন সংযোজন এসব ইভেন্টে যথারীতি অংশগ্রহনকারী ও দর্শণার্থীর সংখ্যাও দিনদিন বাড়ছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন অংশগ্রহনকারী।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ২১ মে ২০১৯/এক

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন