আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

গোয়াইনঘাটে সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনায় মামলা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৫-২১ ১২:২৬:০২

এম এ মতিন, গোয়াইনঘাট :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় তোয়াকুল ইউনিয়নের লাকী গ্রামবাসীর মধ্যে জলমহাল সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত হন মৃত আব্দুল ওয়াহিদের পুত্র আব্দুর রহিম (৩৯)।

এ ঘটনায় সিলেটের গোয়াইনঘাট থানায় সোমবার দিবাগত রাতে মৃত আব্দুল ওয়াহিদের পুত্র ও নিহত আব্দুর রহিমের বড় ভাই ফরিদ আহমদ বাদী হয়ে মনির উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। হত্যা মামলা নং- ১৫, তারিখ- ২০(৫)২০১৯।

মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন মৃত ইন্তাজ আলীর পুত্র সমছুল ইসলাম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পিপড়াখাই গ্রামের মৃত হারিছ আলীর পুত্র মছব্বির আলী (৪৭), লাকী গ্রামের সমছুল ইসলামের পুত্র ছইল মিয়া, আইয়ুব আলীর পুত্র কুতুব উদ্দিন, মৃত আব্দুল করিমের পুত্র জয়নাল মিয়া, মৃত ইছরাইল আলীর পুত্র তৈয়বুর রহমান, মৃত আরজদ আলীর পুত্র আব্দুল মতিন, মৃত সোনা মিয়ার পুত্র জিয়াউর রহমান, মৃত আব্দুল খালিকের পুত্র ময়না মিয়া, মৃত খলিলুর রহমানের পুত্র আব্দুর রহিম।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়- গত ১৯ মে বিকাল সাড়ে ৫ ঘটিকায় তোয়াকুল বাজার পুরাতন হাইস্কুলের মাঠে কাঠ মিস্ত্রী শহিদ মিয়ার দোকানের সামনে এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। বাদীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে আরো জানাযায়, লাকী গ্রামবাসীর মালিকানাধীন ছোট ছোট কুড়ি, বিল অর্থ্যাৎ (জলমহাল) বিক্রির টাকা বিবাদী সমছুল ইসলাম, তৈয়বুর রহমান, জিয়াউর রহমান ও ময়না মিয়া গণের কাছে জমা ছিল। ঘটনার দিন সকালে রহিম উদ্দিনসহ লাকী গ্রামের ৭/৮ লোক ওইসব মুরব্বিদের কাছে গ্রামের ছোট বড় কুড়ি অর্থ্যাৎ জলমহালের টাকার বিষয়ে জানতে চান। এতে মুরব্বিরা ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন এবং আব্দুর রহিমসহ উপস্থিত ওই ৭/৮ জন লোকদের অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এরই সূত্র ধরে ঘটনার তারিখ ও সময়ে নিহত রহিম উদ্দিন তোয়াকুল বাজার পুরাতন হাই স্কুল মাঠের পাশে বসে ভলিবল খেলা উপভোগ করছিলেন। হঠাৎ মনির উদ্দিনসহ গ্রামের জলমহালের টাকা আত্মসাৎকারীরা আব্দুর রহিমের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। ফলে আব্দুর রহিমের অবস্থা আশংকাজনক হয়ে পড়ে। এই খবরে লাকী গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষে ২০ জনের অধিক আহত হয়েছেন। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, লাকী গ্রামের ছোট বড় বেশ কয়েকটি জলমহাল রয়েছে। এইসব জলমহাল থেকে প্রতি বছর ৮০/৯০ লাখ টাকা আয় হয়। কিন্তু গ্রামের শক্তিশালী ও লাঠিয়াল বাহিনী সমছুল ইসলাম, তৈয়বুর রহমান, জিয়াউর রহমান, ময়না মিয়াসহ ১৫/১৬ জনের একটি কুচক্রি মহল প্রতি বছর ওইসব টাকা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আত্মসাৎ করেন। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরের ও বিভিন্ন জলমহাল থেকে আয়কৃত সমুদ্বয় টাকা আত্মসাৎ করার হীন উদ্যোশ্যে এ কুচক্রি মহলটি নানা টালবাহানা চালিয়ে আসছিল। ফলে আব্দুর রহিমসহ এলাকার যুব সমাজ ওইসব কুচক্রি মহলের কাছ থেকে গ্রামের টাকা আদায় করে গরীবদের মাঝে বন্টনের চিন্তায় মগ্ন ছিলেন। এতে ঘটে বিপত্তি।

লিখিত অভিযোগে মো. ফরিদ আহমদ দাবী করেন মনির উদ্দিন, সমছুল ইসলাম, সইল মিয়া, কুতুব উদ্দিন, ও তৈয়বুর রহমানগণ সহ সকল বিবাদীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একে অপরের সহযোগিতায় আব্দুর রহিমের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। ছুরি, চাকু ঘাই মারিয়া আব্দুর রহিমকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিঠ করিয়া প্রাণে হত্যা করে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২১ মে ২০১৯/এমএএম/ডিজেএস

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন