আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেটে বেপরোয়া দালালরা পেটালো পুলিশ অফিসারকে

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৫-২১ ২০:৪৯:৩৫

এনামুল কবীর :: তাদের হাতে সাধারণ মানুষের হয়রানি-নাজেহাল হওয়া নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এবার বেপরোয়া দালালরা তাদের ক্ষমতা অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রদর্শন করলো। স্বয়ং পুলিশের গায়ে হাত দিয়েছে তারা। একজন দু’জন নয়, রীতিমতো দলবদ্ধভাবে হামলা চালিয়ে ঐ পুলিশ কর্মকর্তাকে কিলঘুষি মেরেছে।

ঘটনা মঙ্গলবার সকালের। ১০টার দিকে নিজের কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন এসএমপির এটি এসআই কুতুব উদ্দিন। উপশহরস্থ জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসের সামনে গেলে কয়েকজন দালাল তার গতিরোধ করে।

আচমকা এমন পরিস্থিতির জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না কুতুব উদ্দিন। তিনি কারণ জানতে চাইলে শুরু হয় দলবদ্ধ আক্রমন। কিলঘুষির সাথে টানা-হেঁচড়া!

প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারী দালালদের মধ্যে ছিল মদিনা মার্কেটের মিলন মিয়া, উপশহর তেররতন এলাকার মালেকের কলোনির নিশি কান্ত দাসের ছেলে চিহ্নিত ছিনতাইকারী মো. রিপন মিয়া ও উপশহর  এলাকার বিসমিল্লাহ স্টোরের ব্যবসায়ী ও দালাল রাহত আহমেদ।

এরমধ্যে রিপন মিয়া ছিনতাই মামলায় দুইবছর সাজাপ্রাপ্ত আসামি।

জানা গেছে, চিহ্নিত ও অত্যন্ত প্রভাবশালী এই দালাল চক্রের হাতে জিম্মি সাধারণ মানুষ। জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসে কাংখিত সেবা পেতে গ্রামাঞ্চল থেকে আসা সাধারণ মানুষ প্রায়ই তাদের হয়রানির শিকার হন।

মিষ্টি কথার ফুলঝরি ঝরিয়ে তারা সহজ সেবার কথা বলে দ্বিগুণ/তিনগুণ টাকা  আদায় করেন। তারপর শুরু করেন নানা টালবাহানা হয়রানী। দিনের পর দিন ঘুরতে ঘুরতেও আর সেবা মিলেনা।

যদিও বা কখনো তা মিলে, সেজন্য চড়া মূল্য দিতে হয় সেবাপ্রার্থীকে। আরো ভয়ংকর খবর হচ্ছে, নগরীর সব বড়বড় পকেটচোর ও ছিনতাইকারীদের সাথে এই দালালদের আঁতাত রয়েছে।

প্রায়ই তাদের এই অফিসের সামনে ঘুরঘুর করতে দেখেছেন স্থানীয়রা। যেসব সেবা প্রার্থী দালালদের কথায় রাজি হন না, তাদের পেছনে এইসব চোর-ছিনতাইকারীকে লেলিয়ে দেয় দালালরা। শুরু হয় হয়রানি নাজেহাল।

দিনের পর দিন তাদের এমন অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ জনগন। এমনকি স্থানীয় এলাকাবাসীও তাদের দ্বারা প্রায়ই শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হন।

এদিকে দালালদের হাতে শারীরিক লাঞ্চনার শিকার হওয়া ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা কুতুব  উদ্দিন শাহপরাণ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে  জানিয়েছেন ট্রাফিকের এডিসি নিকোলিন চাকমা।

সিলেটভিউর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে শাহপরাণ থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তারাই প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হযরত শাহপরাণ থানার ওসি আখতার হোসেনের মোবাইলে কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ২১ মে ২০১৯/এক


@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন