আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

ভেজাল ও নিম্নমানের মসলা দিয়ে ওসমানীনগরে তৈরী হচ্ছে ইফতার

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৫-২৩ ১৬:০১:৪৮

রনিক পাল, ওসমানীনগর :: চলছে রমজান মাস। আর রমজান মাসে বাহারী ইফতার তৈরীতেও নানা রকম মসলার প্রয়োজন। এ সুযোগ লাগিয়ে  ভেজাল ও নিম্নমানের মসলায় সয়লাব হয়ে পড়ছে সিলেটের ওসমানীনগরের বিভিন্ন হাট-বাজার। দোকানে দোকানে পৌঁছে গেছে এসব ভেজাল ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মসলা। আর এ সব ইফতার খেয়েও অসুস্ত হওয়ারও খবর পাওয়া যায়। বেশি মুনাফার লোভে কয়েকটি অসাধু ব্যবসায়ী চক্র বাজারে এসব ভেজাল মসলার জোগান দিচ্ছে। অসাধু দোকানদাররাও বেশি লাভের আশায় এসব ভেজাল মসলা বেশি বিক্রি করছে।

জানা গেছে, বিশেষ করে হাটবাজারের পাশে ফুটপাতে বসে বিক্রি করা খোলা মসলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভেজাল রয়েছে। এই ভেজাল মসলা কিনে মানুষ একদিকে যেমন প্রতারিত  হচ্ছে, অন্যদিকে এসব খেয়ে আক্রান্ত হচ্ছে নানা জটিল রোগে। উপজেলার হাট বাজারগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল বিরোধী কোনো অভিযান পরিচালনা হচ্ছে না। এছাড়া মসলা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর প্রশাসনের কোনো নজরদারি না থাকায় অসাধু চক্রগুলো নির্বিঘ্নে ভেজালের এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগে পাওয়া গেছে।

খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, রমজানেরও মসলার চাহিদা অনেক বেশি থাকে। আর ঈদকে সামনে রেখে ভেজাল ও নিম্নমানের মসলা উৎপাদনকারী চক্রটি বেশ আগেভাগে দোকানে দোকানে সরবরাহ দিয়েছে এসব ভেজাল মসলা। এরই মধ্যে গোয়ালাবাজার, তাজপুর, বেগমপুর, শেরপুর, বুরুঙ্গা, উমরপুর, নয়াবন্দর, দয়ামীরসহ অনেক হাটবাজারগুলো ভরে গেছে ভেজাল মসলায়।

গোয়ালাবাজারের কয়েকজন মুদি দোকানদার জানান, উপজেলায় বেশ কয়েকটি ভেজাল মসলা উৎপাদনকারী সিন্ডিকেট রয়েছে। তারা গোপন কারখানায় ভেজাল মসলা উৎপাদন ও প্যাকেটজাত করে পুরো ওসমানীনগর ও আশপাশ হাটবাজারের মুদির দোকানসহ খোলাবাজারে সরবরাহ করে। উপজেলার হাটবাজার ও গ্রামে গড়ে উঠেছে মসলা তৈরির কারখানা। মেশিনে ভাঙ্গিয়ে খুব সহজেই মসলা তৈরি করে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
ভেজাল মসলা উৎপাদনকারীরা বাজার থেকে নিম্নমানের মরিচ, হলুদ, ধনিয়া, গোলমরিচ, দারচিনি, বিভিন্ন মসলা কিনে কারখানায় নানা ধরনের ভেজাল উপাদান মিশিয়ে প্যাকেট করে ও খোলা অবস্থায় বাজারজাত করে আসছে।
একাদিক মসলা বিক্রেতা জানান, উৎপাদনকারীরা তিনভাবে বাজারে ভেজাল মসলা সরবারহ করে। কিছু বিক্রি করে প্যাকেট ছাড়া, কিছু বিক্রি করে সাধারণ প্যাকেটে করে আবার কিছু বিক্রি করে নামী-দামী মসলা কোম্পানির লেবেল লাগিয়ে।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  আনিছুর রহমান,বলেন, আমাদের ভেজাল বিরুধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যপারে ব্যবস্তা নেওয়া হবে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৩ মে ২০১৯/রপা/ইআ

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন