আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

৩৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সিলেট যেনো উত্তপ্ত কড়াই!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৬-১৩ ০০:০৬:৩৫

ফাইল ফটো

এনামুল কবীর :: ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস! সিলেট যেনো এক উত্তপ্ত কড়াই! এমনটি অনুভব হলো বুধবার সারাদিন। গরমে হাসফাঁস অবস্থা থেকে মুক্তি মিলবেনা বৃহস্পতিবারও। তবে শুক্রবার থেকে অবস্থা পাল্টাতে পারে বলে জানিয়েছেন সিলেটের আবহাওয়াবিদরা।

জ্যৈষ্ঠের কাঠফাটা রোদের শেষে আষাঢ়ষ্য বরিষণ, এমনইতো আচরণ প্রকৃতির। বৃষ্টিধারায় রাস্তাঘাটতো ভেসেই যায়, অনেক সময় ভাসে ঘরবাড়িও। অন্যযেকোন বছরের এই সময়ে সুরমা-কুশিয়ারার দুইপার ডুবে যেতো বন্যার পানিতে। অথচ এবার এখনো, এই মধ্য আষাঢ়েও দুটি নদীর অর্ধেকও ডুবেনি। বৃষ্টি কম। শুধু সিলেট অঞ্চলেই নয়, এবার উজানে ভারতের আসাম এবং মণিপুর রাজ্যেও স্বাভাবিক বৃষ্টপাত হচ্ছেনা। ঐ রাজ্যগুলোতে গরম অত্যন্ত বেশী।

গরম সিলেটেও। বৃষ্টিহীনতা বা অতি অল্প বৃষ্টির কারণে গত কয়েকদিন থেকে সিলেটে গরমে হাসফাঁস করছেন সাধারণ মানুষ। ঘরেবাইরে কোথাও নেই শান্তি ও স্বস্তি।

মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় সিলেট ও আশপাশ অঞ্চলের তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সারাদিনের গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রির কাছাকাছি।

বুধবারের অবস্থা আরো খারাপ। সারাদিনের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস! সর্বনি¤œ ২৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস!! এমনই এক উত্তপ্ত কড়াইয়ের মধ্যে জ্বলতে পুড়তেই যাচ্ছে সিলেটবাসীর দিন।

বৃহস্পতিবারও এই অবস্থায় থাকতে পারে সিলেটের আবহাওয়া। তেমন উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন দেখছেন না আবহাওয়াবিদরা। তবে সামান্য কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তারা উল্লেখ করেছেন।

এমন দমবন্ধ অবস্থার পরিবর্তন হতে শুক্রবার থেকে। সেদিন থেকে সিলেটে বৃষ্টি ঝরার সম্ভাবনা খুব বেশী। এমনটাই জানালেন সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী।

সিলেটভিউর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। তবে শুক্রবার থেকে বৃষ্টি হবে। আকাশে কিছুটা মেঘ দেখা যাচ্ছে। আর বৃষ্টি হলে তাপমাত্রাও মোটামুটি সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে।

এমন তপ্ত আবহাওয়ায় সিলেটের নাগরিক জীবনে মারাত্মক অস্বস্তি চলছেই। ছেলে-বুড়ো সবাকে ভুগতে হচ্ছে। তবে বেশী ভুগতে হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুদের। বিশেষ করে নবজাতকদের। অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। কেউকেউ ভুগছেন ডায়রিয়ায়। ছুটছেন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে।

মঙ্গল ও বুধবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সিলেট সদর হাসপাতালে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি সেবাপ্রার্থী ভিড় জমিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালগুলোর সাথে সংশ্লিষ্টরা।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ১৩ জুন ২০১৯/এক

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন