আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

সিলেটে শেষ পর্যায়ে কৃষি শুমারির তথ্য সংগ্রহের কাজ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৬-১৬ ১৮:০৪:০৯



সিলেট :: সিলেটসহ সারাদেশে শুরু হয়েছে ‘কৃষি শুমারি’-২০১৯। এর অংশ হিসেবে ৯ জুন থেকে সিলেটের সবকটি জেলা ও  উপজেলায় মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। আগামী ২০ জুন পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ইতিমধ্যে প্রায় এক তৃতীয়াংশ কাজ শেষ হয়েছে। কৃষিখাতে সঠিক নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই এ শুমারি করা হচ্ছে। প্রতি ১০ বছর অন্তর এ শুমারি করে থাকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। তবে এবারই প্রথম মৎস্য, শস্য ও প্রাণিসম্পদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। অতীতের কৃষি শুমারিগুলোতে শুধু অস্থায়ী ফসলের তথ্য সংগ্রহ করা হতো।

সিলেট বিভাগীয় পরিসংখ্যান অফিস সূত্রে জানা গেছে, সিলেটে শুমারি কার্যক্রম পরিচালনায় ৮৩১৬ জন গণনাকারী, ১৩৪৮ জন সুপারভাইজার, ১৩৪ জন জোনাল অফিসার এবং জেলা শুমারি সমন্বয়কারী করা হয়েছে ৬জন। উপজেলা পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ এবং নগরীতে ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ পরিসংখ্যান ব্যুরোর চাহিদার ভিত্তিতে গণনাকারী ও সুপারভাইজারদের নিয়োগ দিয়েছেন।

সিলেট জেলা পরিসংখ্যান অফিস সূত্রে জানা গেছে, সিলেট জেলায় শুমারি কার্যক্রম পরিচালনায় ২৫২৭ জন গণনাকারী, ৪০৫ জন সুপারভাইজার, ৪৬ জন জোনাল অফিসার এবং জেলা শুমারি সমন্বয়কারী করা হয়েছে ২জন।

শুমারির আওতায় কৃষি খানার সংখ্যা, খানার আকার, ভূমির ব্যবহার, কৃষির প্রকার, শস্যের ধরন, চাষ পদ্ধতি, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগির সংখ্যা, মৎস্য উৎপাদন ও চাষাবাদ সংক্রান্ত তথ্যাদি এবং কৃষি ক্ষেত্রে নিয়োজিত জনবল সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। পরবর্তীতে তথ্য-উপাত্তগুলো কৃষি ক্ষেত্রের উন্নয়ন কৌশল নির্ধারণ এবং অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে বেঞ্চমার্ক তথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

সিলেট বিভাগীয় পরিসংখ্যান অফিসের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আতিকুল কবির বলেন, মাঠ পর্যায়ে আগামী ২০ জুন পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ক্রমহ্রাসমান কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং দেশে শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের কাঠামোগত পরিবর্তন ও পর্যায়ক্রমিক পরিসংখ্যান প্রস্তুত এ শুমারির উদ্দেশ্য বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

তিনি জানান, এ তথ্য-উপাত্ত কৃষি ক্ষেত্রের উন্নয়ন কৌশল নির্ধারণ এবং অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে বেঞ্চমার্ক তথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটা দেশব্যাপী বৃহৎ আকারে পরিচালিত একটি পরিসংখ্যানিক কার্যক্রম। প্রতি দশ বছর অন্তর কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয়। পরিসংখ্যান আইন-২০১৩ অনুযায়ী জনশুমারি এবং অর্থনৈতিক শুমারির পাশাপাশি কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি পরিচালনা করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ১৬ জুন ২০১৯/প্রেবি/এক


@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন