আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

সিলেটে সিনিয়র আইজীবিদের সাথে অশালীন আচরণ, দুই জুনিয়রের সদস্যপদ স্থগিত

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৬-১৭ ২০:৪০:৩৯

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটে সিনিয়র আইজীবিদের সাথে অশালীন ও অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে দুই জুনিয়র আইনজীবির সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে।

তারা হলেন একরামুল হাসান শিরু ও মাসুম বিল্লাহ চৌধুরী। চলতি বছরে তারা সিলেট জেলা আইনজীবি সমিতির সদস্যপদ লাভ করেছেন।

সোমবার দুপুরে সিলেট চিফ মেট্টোপলিটন আদালতের এজলাস থেকে বেরিয়ে আসার সময় অশালিন আচরণের ঘটনা ঘটে এবং পরে আইনজীবি সমিতির জরুরি সভায় শিরু ও মাসুমের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়।

তাদের কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবেনা, আগামী  একসপ্তাহের মধ্যে তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

সূত্র জানায়, এপ্রিলে সিলেটের মইয়ারচরে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আইনজীবি বুরহান উদ্দিন তার মামাতো ভাইদের বিরুদ্ধে তার উপর হামলার অভিযোগে জালালাবাদ থানায় একটি মামলাদায়ের করেছিলেন। মামলায় তিনি ৪ জনকে আসামী করেছিলেন। অ্যাড. বুরহান বিষয়টি সিলেট আইনজীবি সমিতিকেও অবগত করেন। সোমবার সিলেটের মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন আসামীরা। বিবাদী পক্ষে আইনজীবি ছিলেন অ্যাড. রেজাউল করিম। তার সহযোগিতায় ছিলেন অ্যাড. মাছুম বিল্লাহ চৌধুরী ও অ্যাড. একরামুল হাসান শিরু।

শুনানী শেষে  আদালত আসামীদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। উভয় পক্ষের আইনজীবিরা এজলাস ত্যাগ করার সময় বিবাদী পক্ষের জুনিয়র আইনজীবি অ্যাড. মাছুম বিল্লাহ চৌধুরী ও অ্যাড. একরামুল হাসান শিরুর বাদীপক্ষের আইনজীবিদের উদ্দেশ্যে অশ্লীল গালাগাল করতে থাকেন।
এসময় আদালত চত্বরে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।

বাদী পক্ষের আইনজীবিদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরে সিলেট আইনজীবি সমিতির জরুরি সভা অনুষ্টিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে দুই জুনিয়র আইনজীবির সদস্যপদ স্থগিত করা হয় এবং তাদের আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার হবেনা তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সমিতির পরবর্তী সভায় বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।

এব্যাপারে সিলেট আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হোসেন আহমদ জানান, একটি জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে বিবাদী পক্ষের আইনজীবিদের সাথে বাদী পক্ষের আইনজীবিদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। এসময় উত্তেজনা দেখা দিলে আমরা উভয় পক্ষকে নিবৃত করি। পরবর্তীতে কার্যকরী কমিটির সভায় দুই আইনজীবির সদস্য পদ স্থগিত করা হয়।

তিনি আরো জানান, মামলাটির বাদী একজন আইনজীবি। তার উপর হামলার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে কর্মবিরতিসহ কর্মসূচী পালন করা হয় আইনজীবি সমিতির পক্ষ থেকে। তবে কাউকে বিবাদী পক্ষে নিযুক্ত হতে নিষেধ করা হয় নি।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ১৭ জুন ২০১৯/এক



@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন