আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

‘জাফলং রক্ষায় বোমা মেশিনের মালিকদের সরে যেতে হবে’

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৬-১৯ ১৯:৫৭:০১

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাট। দেশের শেষ সীমান্ত ও ভারতের মেঘলয় রাজ্যের খাশিয়া-জৈন্তিয়া পাহাড়ের পাদদেশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলা ভূমি জাফলং। পাহাড়, নদী, সবুজ প্রকৃতি মিলিয়ে জাফলং দেশ-বিদেশীদের কাছে আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্র। সারা বছর এখানে পর্যটকদের ভীড় থাকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জাফলংয়ের ১৮৮ দশমিক ৭০ হেক্টর জায়গা পাথর কোয়ারি (পাথর উত্তোলনের স্থল) চিহ্নিত করে ইজারা ব্যবস্থার মাধ্যমে ১৯৮০ সাল থেকে পাথর উত্তোলন শুরু হয়।

কোয়ারি ইজারা প্রদানের প্রথম দিকে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন চললেও প্রায় ১ দশক ধরে শুরু হয়েছে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির  (বেলা) আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি জাফলংকে ইসিএ ঘোষণা করে। ভারতের ডাউকি নদ ও বাংলাদেশের পিয়ান নদের মিলন স্থল জাফলং। জাফলং এলাকাটি ভূমিকম্পের উৎসস্থল হিসেবে সংশ্লিষ্টরা দাবি করেন। অপরদিকে দানব-যন্ত্র বোমা মেশিন ও এস্কেবেটর দীর্ঘদিন থেকে পাথর উত্তোলন করে আসছিল একটি চক্র। জাফলংকে সরকার পরিবেশ সংকটাপন্ন (ইসিএ) এলাকা ঘোষণা করার পরও পাথরখেকোরা থেমে নেই।

এলাকার শীর্ষ প্রভাবশালীরা প্রশাসনের সাথে হাত মিলিয়ে ইসিএ এলাকা থেকে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন করে আসছিলেন। একান্ত আলাপ চারিতায় গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ জানান, জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি শ্রমিক ও পরিবেশের কথা বিবেচনা করে চলতি বছরের মে মাসের সিলেট জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভায় উত্তাপন করা হয়।

পরিবেশ সংরক্ষনের লক্ষে জাফলং পাথর কোয়ারি এবং তৎ সংলগ্ন এলাকায় যান্ত্রিক উপায়ে পাথর উত্তোলনের বিরোদ্ধে টাস্কফোর্স অভিযান অব্যাহত রাখাতে জড়ালো আবেদন করেন। তারই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা আইন শৃংখলা কমিটির মে মাসের সভায় উক্ত কোয়ারি এলাকাগুলিতে টাস্কর্ফোসের অভিযান অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। টাস্কর্ফোস অভিযান পরিচালনায় পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সকল সংস্থার সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি করার প্রয়াস নেয় জেলা প্রশাসন।

গোয়েন্দা সংস্থা সমূহ এ সংকান্ত তথ্য প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া পাথর কোয়ারি গুলোতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের বিরোদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিয়মিত মোবাইল কোট পরিচালনার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়। পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পৃথকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসন নিদের্শ ক্রমে অনুরোধ করে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ১৯ জুন ২০১৯/এমএএম/এক

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন