আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং

জগন্নাথপুরে হায়দার হত্যাকান্ড: খুনিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৬-২৭ ১৭:১৫:২৫

নিহত হায়দার

নিজস্ব প্রতিবেদক, জগন্নাথপুর :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের আশারকান্দি ইউনিয়নের দাওরাই গ্রামে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হায়দার আমিন হত্যার ২০ দিন অতিবাহিত হলেও হত্যাকান্ডের সাথে জড়ির মূল ঘাতকরা এখনো ধরা পরেনি।

শুধু তাই নয় মামলার এজাহারভুক্ত ৯ আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮জনকে আসামী করা হলেও হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত কিংবা অজ্ঞাতনামা কাউকে এখন পর্যন্ত পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।

ঘটনার দিন রাতে পুলিশ হত্যাকারীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে উত্তর দাওরাই গ্রামের ওয়ারিছ উল্যার স্ত্রী সিতারা বেগম(৪৮)কে আটক ও তাদের বসত ঘর থেকে কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার ছাড়া এখন পর্যন্ত এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার মুল অপরাধীদের পুলিশ গ্রেফতার কর তে পারেনি। মামলার বাদী সহ নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে আসামী ধরতে পুলিশকে বার বার অনুরোধ করা হলেও পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করা হবে বলে শুধু আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে নানা প্রশ্ন তুলেছেন।

গত ৯ জুন নিহত হায়দর আমিনের ছোট ভাই উত্তর দাওরাই গ্রামের আখলিছ মিয়ার ছেলে বদরুল আমিন বাদি হয়ে জগন্নাথপুর থানায় গফুর মিয়াকে প্রধান আসামী ও ৯জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা (নং-০৬) দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর থেকে গত মঙ্গলবার রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাজিব ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন।

হায়দার হত্যা মামলার বাদী বদরুল আমিন বলেন, আব্দুল গফুর, আব্দুল ওয়াহিদ, ফয়জুল ইসলাম, জিলু মিয়া গংরা আমার ভাইকে হত্যা করে পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আমার ভাইয়ের খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।

নিহত হায়দর আমিনের স্ত্রী আছমা বেগম বলেন, আমার স্বামীকে নির্মম ভাবে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ আমার স্বামীর হত্যাকারীদের একজনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি। আমি তিনটি শিশু সন্তানকে নিয়ে আজ অসহায়ের মতো দিন কাটাচ্ছি, আমার সন্তানরা কি পিতা হত্যার বিচার পাবে না?

জগন্নাথপুর থানার ওসি ইখতেয়ার উদ্দিন চৌধুরীর সাথে আলাপ হলে তিনি বলেন, মামলার আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা সন্দেহজনক সব জায়গায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। খুব শিগগিরই আসামীরা ধরা পরবে বলে আমি আশাবাদী।

উল্লেখ্য, গত ৬জুন ঈদুল ফিতরের পরের দিন সকাল ৯টার দিকে উপজেলার আশারকান্দি ইউপির উত্তর দাওরাই গ্রামের আব্দুল গফুর, আব্দুল ওয়াহিদ, ফয়জুল ইসলাম, জিলু মিয়া গংরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজি¦ত হয়ে বাড়ির পানি নিষ্কাশনকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের পাশের বাড়ির আখলিছ মিয়ার ছেলে হায়দার আমিন সহ তাদের চার ভাইয়ের উপর অতর্কিতভাবে  সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে হায়দর আমিন সহ তারা চার ভাই গুরুতর আহত হয়। আশংকা জনক অবস্থায় হায়দর আমিনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ৬ জুন রাত ৮টার দিকে হায়দর আমিন মারা যান। ঘটনার পর ৯জুন নিহত হায়দর আমিনের ছোট ভাই বদরুল আমির বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৭ জুন ২০১৯/এসএইচএস/এসডি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন