আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেট জেলা কর আইনজীবী সমিতির কর্মবিরতি পালন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৬-২৭ ১৮:৪২:৩০

সিলেট :: আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ১৭৪ ধারার উপধারা ২ এর ক্লজ “এফ” প্রভাইসো এবং এস আর ও নং- ২১৩-আইন-আয়কর-২০১৯ তারিখ: ২৩.০৬.২০১৯ এর আইটেম নম্বর ৪ এবং ৫ বাতিলের দাবিতে দিনব্যাপি কর্মবিরতি পালন করেছে সিলেট জেলা কর আইনজীবী সমিতি।

বৃহস্পতিবার (২৭জুন) দুপুরে বার হলে কর্মবিরতি কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন বারের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা।

সঞ্চালনায় ছিলেন বারের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল আলীম পাঠান।

এসময় বক্তারা বলেন, সম্প্রতি মহান জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের মোট ৫,২৩,১৯০ (পাচঁলক্ষ তেইশ হাজার এক শতনব্বই) কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। উক্ত বাজেটে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ১৭৪ ধারারউপধারা ২ এর ক্লজ “এফ”প্রভাইসোটি বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে। আয়কর আইনজীবীদের কার্যক্রম ও আচরণ সুশৃঙ্খল রাখার জন্য ২০০৬ সালের অর্থ আইনের মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশে “Provided that such an Income tax practitioner shall be a member of any registered Taxes Bar Association”  প্রভাইসোটি সন্নিবেশিত করা হয়ে ছিল। বাংলাদেশে ৬৪টি আয়কর আইনজীবী সমিতি রয়েছে। এই আইনজীবী সমিতি গুলোতে ১৮ হাজারেরওঅধিকআয়করআইনজীবীসদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। উক্ত প্রভাইসোর উপর ভিত্তিকওে আয়কর আইনজীবী সমিতি গুলো আয়কর আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণকরে থাকে। প্রভাইসোটি বিলুপ্ত হলে আয়কর আইনজীবীগণ সমিতি গুলোর নিয়ন্ত্রণের বাইওে চলে যাবেন এবং তাদের নিয়ন্ত্রণহীন কার্যকলা পবিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করতে পারে, ফলশ্রুতিতে সরকারের রাজস্ব আহরণ কার্যক্রম ব্যাহত হবে।

ইতিমধ্যে বিগত ২৩.০৬.২০১৯ তারিখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এস.আর.ওনং- ২১৩-আইন/আয়কর/২০১৯ প্রজ্ঞাপন জারি করে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড উক্ত এস.আর.ও তে উল্লেখ করেছে-
(৪) rule 37 এর sub-rule (2) এর clause (c) এ দুইবার উল্লেখিত ‘seven’ শব্দের পরিবর্তে ‘five’ প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং (5) rule 37 এর sub-rule (2) এর পর নিম্নরূপ sub-rule (2a) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:- “(2a). An income tax practitioner shall be a member of any registered Taxes Bar Association: Provided that this provision shall not apply to an income tax practitioner under clause (c) of sub-rule (2)”

উক্ত প্রজ্ঞাপনটি কার্যকর হলে অবসরপ্রাপ্ত কতিপয় স্বার্থান্বেষী সুবিধা ভোগ করবেন এবং নিয়ন্ত্রনহীনভাবে কর্মকান্ড পরিচালনা করবেন। যার ফলে সরকার রাজস্ব আহরণ থেকে বঞ্চিত হবে এবং আয়কর পেশাজীবীদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হবে ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। আমরা এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং প্রজ্ঞাপনটি অবিলম্বে বাতিলের আহবান জানাই।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী সমীপে উপরোক্ত অবস্থার পরি প্রেক্ষিতে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ১৭৪ ধারার উপধারা ২ এর ক্লজ “এফ” প্রভাইসোটি পূণর্বহাল এবং এস.আর.ওনং- ২১৩-আইন/আয়কর/২০১৯ তারিখ: ২৩.০৬.২০১৯ এরআইটেম নম্বর ৪ এবং ৫ বাতিলের জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- বারের কোষাধ্যক্ষ হাসনু চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম, মো. কামাল আহমদ, ইফতিয়াক হোসেনমঞ্জু, জহিরুল ইসলাম রিপন,মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, মো. মাজাহারুল হক, সৈয়দ আব্দুল হামিদ রিপন,খায়রুল আলম, তুষার রায় প্রমূখ।



সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৭ জুন ২০১৯/প্রেবি/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন