আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং

নেশাখোরদের আস্তানা ও ময়লার ভাগাড় সিলেটের ভোলানন্দ নৈশ বিদ্যালয়

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৭-১১ ০০:০১:০৯

সুব্রত দাস :: সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে সিলেটের একমাত্র নৈশ বিদ্যালয় ভোলানন্দ নৈশ উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুলটির সামনের রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্কুলটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে। দুর্গন্ধে অনেক সময় নাকে রুমাল দিতে হয়। এছাড়া রাতে বাড়ার সাথে সাথে স্কুলটির বারান্দায় ও আঙিনায় নেশাখোরদের আড্ডা বসে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সচেতন মহল।

সরজমিনে দেখা যায়, সিটি কর্পোরেশনের অপসারণকৃত ফেস্টুন, ব্যানারসহ বিভিন্ন ধরনের ময়লা আবর্জনা নিয়মিত ফেলা হচ্ছে। অনেকটা ঠাসাঠাসি অবস্থা। এই অবর্জনার স্থুপের পাশেই গড়ে উঠেছে অলিখিত বা অঘোষিত স্যানিটেশন ব্যবস্থা। প্রশ্রাবের গন্ধে টেকা দায়। সাধারণ পথচারিদের পাশাপাশি আশপাশের ব্যবসায়ীরাও এ কাজটি চালিয়ে যাচ্ছেন নির্দিধায়। এতে পরিবেশ মারাত্মক দূষিত হয়ে পড়েছে।

এদিকে, রাত ১১টার পর থেকে বিদ্যালয়ের ভিতরে মদ ও গাঁজার আসর বসে বলেও জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র।

স্কুলটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী জাকির আহমদ জানান, এখানে সূর্যাস্তের পর লেখাপড়া শুরু হয়। শ্রমজীবী, গরীব ও ঝরে পড়া শিক্ষার্থীরা নতুন করে শিক্ষাগ্রহন করেন। তাদের পদচারণায় এই ক্যাম্পাস যেমন আলোকিত হয়ে উঠে তেমনি আলোকিত হয়ে উঠে তাদের জীবনও।

তিনি বলেন, অথচ পবিত্র এ প্রাঙ্গণে সিটি কর্পোরেশনের ফেস্টুন, ব্যানারসহ বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা ও প্রশ্রাবের কারণে দুর্গন্ধে বিদ্যালয়ে ঢুকাই যায়না। শিক্ষার্থীরাও ক্লাস করতে মারাত্মক অস্বস্তিতে থাকেন।

বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী বেলাল আহমদ বলেন, ভেতরে ফেলে রাখা ময়লা আবর্জনা ও প্রশ্রাবের দুর্গন্ধে ক্লাস করাই অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক বিজয় ধর জানান, সিলেটে এধরনের প্রতিষ্ঠান এই একটিই। বিদ্যালয়টি বর্তমানে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও পরিচিতি লাভ করেছে। অথচ সামনে ফেস্টুন, ব্যানারসহ আবর্জনা রাখা হয়েছে। সিটি করপোরেশন অভিযান করে এখানে এনে রেখেছে। তারা বলেছেন দু-একদিনের মধ্যে সেগুলো নিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরকে এখানে প্রশ্রাব না করার জন্য অনুরোধ জানালেও কে শুনে কার কথা!

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এ ব্যাপারে বলেন, শহরের বিভিন্ন রাস্তার উপর টানানো ছিল এই ফেস্টুন-ব্যানারগুলো। অভিযান শেষে এগুলো রাখা হয়েছে। আমরা দ্রুত এগুলো সরিয়ে নিবো।

নেশার আড্ডা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মো. সেলিম মিয়া বলেন, সন্ধ্যার পর এখানে কিছু ছেলের আড্ডা দেয়। আমরা কয়েকদিন আগে অভিযান করেছি। অভিযানের পর থেকে আর তাদেরকে দেখিনি।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ১১ জুলাই ২০১৯/এসডি/এক

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন