আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বাড়ছে পানি, ফুঁসছে সুরমা-কুশিয়ারা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৭-১১ ২০:১৫:৩৫

এনামুল কবীর :: ফুঁসছে সুরমা-কুশিয়ারা! পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টিতে দ্রুত বাড়ছে পানি। ইতিমধ্যেই কানাইঘাটে সুরমা ও শেরপুরে কুশিয়ারা বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। অন্যান্য পয়েন্টে বিপদসীমার নিচে থাকলেও পানি বাড়ছে খুব দ্রুত। এদিকে সীমান্তবর্তী পাহাড়ি নদী লোভা ও সারির পানিও দ্রুত বাড়ছে। পানি উন্নয়নবোর্ড সূত্র জানিয়েছে এসব তথ্য।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার পর সুরমা কানাইঘাটে বিপদসীমার ৫১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এদিন সকাল ৬টায় এই পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৫, ৯টায় ৪০, ১২টায় ৪৩ ও বিকেল ৩টায় ৪৫ সেন্টিমিটির উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।

সুরমা সিলেট পয়েন্টে এখনো বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও অবস্থা অনেকটা ছুঁইছুঁই। সন্ধ্যা ৬টায় এই পয়েন্টে পানি ছিল বিপদ সীমার মাত্র ৩ সেন্টিমিটার নিচে। এই পয়েন্টে বিপদসীমা ১০ দশমিক ১৫ মিটার । সন্ধ্যায় পানি ছিল ১০ দশমিক ১২ মিটার। এ পয়েন্টেও পানি সারাদিন বেড়েছে। সকাল ৬টায় ছিল ৯ দশমিক ৯৪ মিটার, ৯টায় ছিল ৯ দশমিক ৯৭ মিটার, দুপুর ১২টায় ১০ দশমিক ০২ মিটার, বিকেল ৩টায় ছিল ১০ দশমিক ০৭ মিটার।

সুরমার মতো কুশিয়ারা একটি পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। পয়েন্টটি হচ্ছে শেরপুর। অন্যান্য পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও পানি দ্রæত বাড়ছে। সংশ্লিষ্টদের আশংকা, রাতের মধ্যেই দুটি নদী এশাধিক পয়েন্টে বিপদসীমা ছাড়িয়ে যাবে।

শেরপুরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় বিপদসীমার ০৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সকাল ৬ ও ৯টায় বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচে থাকলেও দুপুর ১২টায় তা স্পর্শ করে। এই পয়েন্টে বিপদসীমা হচ্ছে ৮ দশমিক ০৫ মিটার। সকাল ৬ ও ৯টায় ছিল ৮ দশমিক ০৩ মিটার। দুপুর ১২টায় ৮ দশমিক ৫ মিটার। বিকেল ৩টায় বিপদসীমা অতিক্রম করে। তখন পানি ছিল ৮ দশমিক ০৬ মিটার।

কুশিয়ারার অন্য দুই পয়েন্টে পানি বিপদসীমার নিচে ছিল। আমলশীদে বিপদসীমা ১৪ দশমিক ৯৫ মিটার। সকাল ৬টায় পানি ছিল ১৩ দশমিক ৯১, ৯টায় ১৪ দশমিক ০৪, দুপুর ১২টায় ১৪ দশমিক ২৪  বিকেল  ৩টায় ছিল ১৪ দশমিক ৪০ ও সন্ধ্যা ৬টায় ছিল ১৪ দশমিক ৬৪ মিটার।

শেওলা পয়েন্টেও পানি দ্রুত বাড়ছে, তবে তা এখনো বিপদসীমার কিছুটা নিচে রয়েছে। এ পয়েন্টে বিপদসীমা হচ্ছে ১২ দশমিক ৫০ মিটার। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পানি ছিল  ১১ দশমিক ৫৮ মিটার। সকাল ৬টায় পানি ছিল ১১ দশমিক ৪০, ৯টায় ১১ দশমিক ৪২, দুপুর ১২টায় ১১ দশমিক ৪৫ মিটার ও বিকেল ৩টায় ছিল ১১ দশমিক ৫০ মিটার।

পাহাড়ি নদী সারির পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সকাল থেকে বিকেলের দিকে কিছুটা কমেছে। এ নদীটির বিপদসীমা ১১ দশমিক ৭৫ মিটার। সন্ধ্যা ৬টায় প্রবাহিত হচ্ছিল ১০ সেন্টিমিটর উপর দিয়ে। পানি ছিল ১১ দশমিক ৮৫ মিটার। তবে সকালে আরও খারাপ অবস্থা ছিল। সকাল ৬টায় পানি ছিল ১২ দশমিক ৩০ মিটার, সকাল ৯টায় ১২ দশমিক ১৯, দুপুর ১২টায় ১২ দশমিক ১০ ও বিকেল ৩টায় ১১ দশমিক ৯৮ মিটার।

সিলেট সীমান্তের অপর পাহাড়ি নদী লোভার কোন বিপদসীমা নেই। দ্রুত বাড়ছে এর পানিও। সকাল ৬টায় ১৩ দশমিক ৮৪, ৯টায় ১৪ দশমিক ৫, ১২টায় ১৪ দশমিক ২২, বিকেল ৩টায় ১৪ দশমিক ২৫ ও সন্ধ্যা ৬টায় পানি ছিল ১৪ দশমিক ৪৩ মিটার।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত প্রায় সারাদিন থেমে থেমে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে উজানে ভারতে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যেও তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে। আর তাই সুরমা-কুশিয়ারার পানি দ্রুত বিপদসীমা অতিক্রম করবে বলে আশংকা প্রকাশ করা হচ্ছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ১১ জুলাই ২০১৯/এক


@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন