আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বাহুবল সরকারী কলেজে চুরি, হিসাব রক্ষকসহ তিন নাইটগার্ড আটক

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৭-১২ ১৫:৪২:০৬

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ঐতিহ্যবাহি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আলিফ সোবহান চৌধুরী সরকারী কলেজে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা কলেজের কলাপসিপল গেট, অধ্যক্ষের রুম, শিক্ষক রুম ও অফিস রুমের দরজা ভেঙে প্রায় লক্ষাধিক টাকা মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কলেজের হিসাবরক্ষক ও তিন নাইট গার্ডকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে সম্পূর্ণ চুরির ঘটনাটি রহস্যজন বলে দাবি করছেন কলেজের কর্মকর্তারা।

শুক্রবার (১২ জুলাই) সকালে তাদেরকে আটক করা হয়। এর আগে ভোর রাতে এ চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি পুলিশের।

আটককৃতরা হলেন- কলেজের হিসাব রক্ষণ মুহিত মিয়া, নাইট গার্ড ফিরোজ মিয়া, আহাদ মিয়া ও জুয়েল মিয়া।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) কলেজের কাজ শেষ করে অফিস তালাবদ্ধ করে অধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা বাড়ি চলে যান। শুক্রবার সকালে চুরির বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষকে অবহিত করা হয়। পরে অধ্যক্ষ কলেজে গিয়ে চুরির আলামত পান। তিনি দেখেন চোরেরা কলেজের কলাপসিপল গেট, অধ্যক্ষের রুম, শিক্ষক রুম ও অফিস রুমের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় চোরেরা অফিসে থাকা নগদ ১ লক্ষ ১৭ হাজার টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।

চুরির ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হলে বাহুবল থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কলেজের হিসাব রক্ষণ মুহিত মিয়া, নাইট গার্ড ফিরোজ মিয়া, আহাদ মিয়া ও জুয়েল মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। সেখানে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার ও শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকার পরও হিসাবরক্ষক মুহিত মিয়া বৃহস্পতিবার টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে অফিসে রেখে চলে যান। যার ফলে বিষয়টি রহস্যময় মনে হচ্ছে।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান বলেন- ‘পাহাড়াদার আহাদ আমাকে খবর দিলে আমি কলেজে এসে গেট ও তিনটি রুমের দরজা ভাঙা পাই। পরে থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করি।’

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা হক বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য তাৎক্ষণিক তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছি। কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে বাহুবল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রফিকুল ইসলামকে।’ এছাড়া বিষয়টি নিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান আটকের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হিসাব রক্ষক ও তিন নাইট গার্ডকে থানায় আনা হয়েছে। বর্তমানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।




সিলেটভিউ২৪ডটকম/১২ জুলাই ২০১৯/কেএস/এসডি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন