Sylhet View 24 PRINT

সিলেটে বাড়ছে পানি, ডুবছে জনপদ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৭-১২ ১৫:৫৮:৫৮

শাহীন আহমদ :: টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে সিলেটে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত কয়েকদিনে বিভিন্ন উপজেলায় আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়েছে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি। এতে প্লাবিত হচ্ছে জেলার বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল এবং নদী তীরবর্তী এলাকা।

শুক্রবার সকাল থেকে চেঙ্গের খাল নদীর পানি বৃদ্ধিতে সিলেট শহরতলীর খাদিমনগর ইউনিয়নের বাউয়ার কান্দি, বাইশটিলা, যুগলটিলা, কামাউরা কান্দি, নীল গাও সহ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। মুল সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন তারা।

গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পিয়াইন ও সারী নদীর পানি বেড়ে উপজেলার অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। সেই সাথে উপজেলা সদরের সাথে প্রত্যন্ত গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং বিপাকে পড়েন পানিবন্দি সাধারণ মানুষ। বানের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সারীঘাট-গোয়াইনঘাট, সালুটিকর-গোয়াইনঘাট, হাতির পাড়া-ফতেহপুর সড়ক তলিয়ে গেছে পানির নিচে। আজও বন্যা পরিস্থিতি একই অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে।

কানাইঘাট উপজেলাও সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধিতে গতকাল নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলেও আজ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার পর সুরমা কানাইঘাটে বিপদসীমার ৫১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে শুক্রবার বেলা ১২টায় পানি নেমে প্রবাহিত হয়েছে বিপদসীমার ১৩.২৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে।

গতকাল সিলেট পয়েন্টে সুরমার পানি বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও আজ তা অতিক্রম করেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় এই পয়েন্টে পানি ছিল বিপদ সীমার মাত্র ৩ সেন্টিমিটার নিচে। কিন্তু শুক্রবার বেলা ১২টায় পানি প্রবাহিত হয়েছে বিপদসীমার ১০.৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে।

সুরমার মতো ডেঞ্জার সিগন্যাল দিচ্ছে কুশিয়ারা নদীও। শেরপুরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কিন্তু শুক্রবার বেলা ১২টায় শেরপুরে প্রবাহিত হয়েছে বিপদসীমার ৮.৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। শেরপুরেও নদীর তীরসংলগ্ন এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কুশিয়ারার শেওলা পয়েন্টেও পানি বিপদসীমার কিছুটা নিচে ছিল। শুক্রবার দুপুর ১২টার রিডিংয়ে এই পয়েন্টেও বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। ১২টার প্রাপ্ত রিডিংয়ে এ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১২.৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

এছাড়া শুক্রবার বেলা ১২টায় জৈন্তাপুরে সারী নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছে বিপদসীমার ১১.৬১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং কানাইঘাটে লোভাছড়ার পানি প্রবাহিত হয়েছে বিপদসীমার ১৪.৬৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে।

এদিকে শুক্রবার সকাল থেকেই থেমে থেমে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে।



সিলেটভিউ২৪ডটকম/১২ জুলাই ২০১৯/এসএ/ডিজেএস/এসডি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.