আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

কানাইঘাটের গাছবাড়ী বাজারে দলিল জালিয়াতির অভিযোগ, তদন্তের নির্দেশ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৭-১৮ ০০:৪৮:৩৯

এনামুল কবীর :: কানাইঘাটে জমি উদ্ধার করে দেওয়ার নামে লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তহশীল অফিসের এক দালাল। এমন অভিযোগ দেওয়া হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সিলেটের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কানাইঘাট থানা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার কাছে।
কানাইঘাট উপজেলার চলিতাবাড়ী  রাজাপুরের তফজ্জুল আলীর পুত্র আম্বিয়া এ অভিযোগ দাখিল করেছেন। এ ব্যাপারে দু’একদিনের মধ্যে তদন্ত শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কানাইঘাট থানার এসআই স্বপন। তদন্তের দায়িত্ব বর্তেছে তার উপর।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আম্বিয়ার গাছবাড়ি বাজারস্থ ৫২৪ নং দাগের ১৫৪২নং খতিয়ানের  প্রায় দুই ডেসিমিল জায়গা তার চাচাত ভাই জালাল উদ্দিনের দখলে দীর্ঘদিন ধরে।

লাখ টাকা দিলে এই জমিটি উদ্ধার করা সম্ভব বলে আম্বিয়াকে কয়েকবছর আগে জানায় গাছবাড়ী বাজার ইউনিয়ন অফিসের দালাল হিসাবে পরিচিত একই গ্রামের শৈতেন চন্দের পুত্র চন্দন চন্দ। সে বিভিন্ন সময়ে তার কাছ থেকে লাখ টাকার বেশী নিয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন আম্বিয়া।

তিনি আরো অভিযোগ করেছেন, কিছুদিন আগে চন্দন তাকে কিছু কাগজপত্র দিয়ে জমিটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায়। যথারীতি এই দলিলের বিপরীতে  ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নুরুল আমীন  খাজনাও আদায় করেন।

পরে ভলিউমে জমিটির মালিকানা দেখতে গিয়ে জাল দলিলের বিষয়টি ধরা পড়ে।  আম্বিয়া জানান, জালা দলিলের বিষয়টি নিয়ে বার বার চন্দনকে বলা সত্তে¡ও তিনি তা অস্বীকার করেন। এমনকি তিনি আমাকে বুঝিয়েছেন যে, যেহেতু আমার  খাজনা আদায় হয়েছে সেহেতু দলিল ঠিকই আছে। তবে বিষয়টি বুঝতে আইনজীবিদের শরণাপন্ন হলে তারাও জানিয়েছেন দলিলটি জাল।

এদিকে সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন রবিবার কানাইঘাট গেলে সেখানে তিনি এক সুধি সমাবেশে মিলিত হন। এ সময় আম্বিয়া জাল দলিলে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি তুলে ধরলে তিনি তাৎপক্ষনিক কানাইঘাট থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ) আব্দুল আহাদকে দ্রæত তন্দের নির্দেশ দেন। ওসি সাথেসাথে এই থানার এসআই স্বপনকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।

তবে বুধবার এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে এসআই স্বপন দু’একদিনের মধ্যেই তদন্ত শুরু হবে বলে উল্লেখ করেছেন।

জানা গেছে, গাছবাড়ী বাজার ইউনিয়েনের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা নুরুল আমীনের সহায়তায় দালাল চন্দন ইসমাইলরা এই ইউনিয়নের সহজসরল জনগনকে নানা ভয় ভীতি দেখিয়ে টাক- পয়সা আত্মসাত করছেন। তারা নানা বাহানায় অতিরিক্ত খাজনা আদায় করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করেছেন। তাদের খপ্পরে পড়ে অনেকে টাকা পয়সা হারিয়েছেন। এমন অভিযোগও সিলেটভিউর কাছে প্রমাণসহ সংরক্ষন করা হয়েছে।

এব্যাপারে জানতে চাইলে চন্দন চন্দ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সহকারি ভূমি কর্মকর্তা নুরুল আমীনের মোবাইলে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ১৮ জুলাই ২০১৯/এক


@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন