আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

'আবুসিনা ভবন ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে'

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৭-১৮ ২৩:৫৭:৫৭

সিলেট :: আসাম ও বিট্রিশ স্থাপত্য রীতির নান্দনিক স্থাপনা ১৬৯ বছরের ঐতিহ্যের স্মারক সিলেটের "আবুসিনা ছাত্রাবাস ভবন" সকল যুক্তি থোয়াক্কা করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লুটপাটকারীদের অকৌশলে ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন ‘সিলেটের ঐতিহ্য রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ নাগরিক সমাজ’ এর নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই ) বিকেল সাড়ে ৪ টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে "আবুসিনা ভবন" ভাঙ্গার প্রতিবাদে উন্মুক্ত আলোচনা ও সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়।

নাগরিক এই সংগঠনের আহবায়ক ব্যারিস্টার আরশ আলীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সচিব আব্দুল করিম কিমের পরিলানায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন, সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় সদস্য ধীরেন সিং, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ই.উ.শহীদুল ইসলাম শাহীন ও নাগরিক সংগঠনের সদস্য সচিব জাকির আহমদ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ইতিহাস ঐতিহ্যের প্রতি দায় থেকে যৌক্তিক কারণেই আমরা এই স্থাপনা রক্ষার দাবি জানিয়েছিলাম। গত পাঁচ মাস ধরে এই দাবিতে মিছিল-মিটিং আলোচনা সভা করেছি। এখানকার সাংসদ, সাবেক সাংসদদের সাথে দেখাও করেছি। আমরা এই যানজটপূর্ণ স্থানে হাসপাতাল নির্মাণ না করে অন্য কোনো সুবিধাজনক স্থানে হাসপাতালের স্থাপনের দাবি জানিয়েছিলাম। বিকল্প জায়গাও দেখিয়ে দিয়েছি। কিন্তু অত্যন্ত জনমত, যুক্তি, ঐতিহ্যের প্রতি সাংবাধানিক দায়- সবকিছুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই ভবনটি ভাঙ্গার কাজ শুরু হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা যুক্তি ও তথ্যের মাধ্যমে ১৬৯ বছরের ঐতিহাসিক স্থপনা আবুসিনা ছাত্রাবাস রক্ষায় গণতান্ত্রিক পন্থায় সকল ধরনের ধারাবাহিক আন্দোলন করে আমাদের যুক্তি তুলে ধরেছি। কিন্তু লুটারে মুনাফাখোরদের স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত, ২ টি বিশ্বযুদ্ধের সাক্ষী, শত বছরের ঐতিহ্যের স্বারক সরকারী ক্ষমতার অপ ব্যবহার করে ভেঙ্গে পেলা হচ্ছে। যা খুবই নিন্দনীয়,  ইতিহাস ঐতিহ্যের পরিপন্থী, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন মুছে দেওয়ার শামিল।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সিলেটবাসীর আবেগকে ধারন না করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপ ব্যবহার করে চরম লুটপাটের ধারাবাহিকতায় দেড় শত বছরের স্থাপত্য "আবুসিনা ছাত্রবাস ভবন " ধ্বংস ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায় বলে বিবেচিত হবে।

সাংবাদিক সম্মলেনে উপস্থিত ছিলেন- উপস্থিত ছিলেন গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সিলেটের ঐতিহ্য রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ নাগরিক সমাজের আহবায়ক ব্যারিস্টার আরশ আলী, যুগ্ম আহবায়ক ও সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. এমাদুল­াহ শহিদুল ইসলাম শাহিন, সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এড. জাকির আহমদ, যুগ্ম আহবায়ক ড. মোস্তফা জাহান চৌধুরী বাহার, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ধীরেন সিংহ, বাসদ মার্কসবাদী জেলা আহবায়ক উজ্জ্বল রায়, বাসদ জেলা সমন্বয়ক আবু জাফর, গণতন্ত্রী পার্টির জেলার সাধারণ সম্পাদক জুনেদুর রহমান চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সিকান্দার আলী, সিপিবি সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক এড. আনোয়ার হোসেন সুমন, বাংলাদেশ জাসদ সিলেট জেলার সাধারণ ফৈরদোস আরবী, সিপিবি জেলার যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল হাছান, বাসদ মার্কসবাদী সিলেট জেলার সদস্য হুমায়ূন রশিদ শোয়েব, বাসদ সিলেট জেলা সদস্য প্রণব জ্যোতি পাল।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৮ জুলাই ২০১৯/প্রেবি/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন