Sylhet View 24 PRINT

কবে হবে ঢাকা-সিলেট চার লেন?

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৭-১৯ ০০:২০:০৫

নিজামুল হক বিপুল :: ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার কাজ এখনো ঝুলে আছে। নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্পের কাজ করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। এখন বলা হচ্ছে, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এই প্রকল্পে অর্থায়ন করবে। তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। একই সঙ্গে প্রকল্পের খরচ যাচাই-বাছাই করে রিভিউ করা হচ্ছে।

শিগগির এডিবির কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার বিষয়ে গত প্রায় দুই বছর ধরে আলোচনা চলছে সরকারের বিভিন্ন মহলে। এসব আলোচনার এক পর্যায়ে জিটুজি ভিত্তিতে চীনের অর্থায়নে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য গত ২০১৭ সালের অক্টোবরে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছিল সরকার।

কথা ছিল ২০১৮ সালের শুরুতেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। কিন্তু চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্পের যে ব্যয় প্রস্তাব করেছিল তা সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতরের প্রাক্কলনের চেয়ে প্রায় ৪২ শতাংশ বেশি। এ কারণে চায়না হারবারের প্রস্তাবটি গ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে এই মহাসড়কের ঢাকা থেকে সিলেট পর্যন্ত ২২৬ কিলোমিটার সড়ককে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে উন্নীতকরণের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই অনুযায়ী গত বছর ডিপিপি তৈরি করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলেও সেখান থেকে আরও কিছু সংশোধন চেয়ে এটি আবারও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হয়।

মন্ত্রণালয় সেটিকে সংশোধন করে পুনরায় পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায়। কিন্তু প্রস্তাবটি পরিকল্পনা কমিশনে যাওয়ার পর তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী প্রকল্পটি অনেক ব্যয়বহুল উল্লেখ করে এই প্রকল্পের জন্য বাইরের কোনো অর্থায়ন পাওয়া যায় কি না- তা দেখার জন্য বলেন। এর পরপরই এই প্রকল্পটি ঝুলে যায়। অথচ কথা ছিল সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে গত জাতীয় নির্বাচনেই আগেই প্রকল্পটির কাজ শুরু হবে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানা গেছে, চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর সরকার এই প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য নতুন করে এডিবিকে প্রস্তাব দিচ্ছে। যেহেতু আগে থেকেই এই প্রকল্পের বিষয়ে আগ্রহী ছিল এডিবি। এখন সেটিকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আলোচনা চলছে।

সূত্র জানায়, সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এই প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে শুধু সড়ক নির্মাণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ১১ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরে জমি অধিগ্রহণসহ অন্যান্য খাতে আরও অন্তত পাঁচ কোটি টাকা ব্যয় হতো। এখন সেটি রিভিউ করা হচ্ছে। রিভিউ শেষ হলে প্রস্তাবটি এডিবিকে পাঠানো হবে।

এডিবি সেটি যাচাই-বাছাই করে তাদের প্রস্তাব দেবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগকে। তারপর দুই পক্ষের মধ্যে চূড়ান্ত সমঝোতা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা। এরপর প্রকল্পের ডিপিপি তৈরি করে একনেক অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে পরিকল্পনা কমিশনে। তাতেও আরও অন্তত তিন-চার মাস সময় লাগতে পারে।

সৌজন্যে : বাংলাদেশ প্রতিদিন

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৯ জুলাই ২০১৯/ডেস্ক/ডিজেএস

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.