আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

অবশেষে জনতার হাতে ধরা পড়লেন জুড়ীর লম্পট শিক্ষক হাশেম

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৮-১৭ ১৭:২৩:৩৭

জুড়ী প্রতিনিধি :: ছাত্রীদের যৌন হেনস্তা করে বার বার পার পেলেও এক নারীর শরীরে হাত দিয়ে জনতার হাতে গণপিঠুনি খেয়ে অবশেষে থানায় আটক হল জুড়ীর এক মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক লম্পট হাশেম সরকার।

ঘটনাটি শনিবার বেলা ১টায় কুলাউড়া পৌরসভার মিলি প্লাজা মার্কেটে ঘটেছে।

জানা যায়, কুমিল্লার বাসিন্দা আবুল হাশেম সরকার জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের নয়াগ্রাম-শিমুলতলা দাখিল মাদ্রাসার সরকারী শিক্ষক (গণিত)। দীর্ঘ দিন থেকে এখানে চাকরীর সুবাধে একই ইউনিয়নের বেলাগাঁও গ্রামে তিনি বিয়ে করেন।

অভিযোগ রয়েছে, ২ সন্তানের জনক হাশেম সরকার দীর্ঘ দিন থেকে মাদ্রাসা ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করছেন। কিন্তু লোক লজ্জার ভয়ে কেহ মুখ খুলেনি। গত ২ জুলাই পরীক্ষা চলাকালে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর বুকে-পিঠে হাত দিলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয় এবং সহ-সুপারের সাথে তার মারামারির ঘটনাও ঘটে। এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দিলে ৩ জুলাই থেকে হাশেম সরকারকে চাকরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সেই সাথে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

লম্পট শিক্ষক হাশেম সরকার শনিবার দুপুর ১টায় কুলাউড়া শহরের মিলি প্লাজা মার্কেটে প্রকাশ্যে এক নারীর শরীরে হাত দিলে উত্তেজিত তাকে গণধোলাই দিয়ে কুলাউড়া থানায় সোপর্দ করে।

এ বিষয়ে নয়াগ্রাম-শিমুলতলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা জিয়াউল হক বলেন, ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে হাশেম সরকার প্রায় দেড় মাস থেকে সাময়িক বরখাস্ত আছেন এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলছে।



সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৭ আগস্ট ২০১৯/এমএএল/এসডি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন