আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং

গ্রেনেড হামলা: সিলেটের পর ঢাকায়, টার্গেট আ.লীগ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৮-২১ ০০:১৪:৪১

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :: সিলেট নগরীর তালতলায় অবস্থান গুলশান সেন্টারের। এখানেই ২০০৪ সালের ৭ আগস্ট কার্যকরী কমিটির সভায় বসেছিল আওয়ামী লীগ। সভা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রেনেড হামলা হয় সেখানে। নিহত হন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের তৎকালীন প্রচার সম্পাদক ইব্রাহিম আলী। আহত হন বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী।

সিলেটে ওই হামলার মাত্র ১৩ দিন পর ফের আওয়ামী লীগকে টার্গেট করে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই বছরের ২১ আগস্টের সেই নৃশংস হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু প্রাণ হারাতে হয় আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভী রহমানসহ ২৪ জনকে।

সিলেটে ৭ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পর আহত ২০ নেতাকর্মীকে দেখতে ১২ আগস্ট সিলেটে আসেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের খোঁজখবর নেন এবং হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

সিলেট থেকে ঢাকায় ফেরার সপ্তাহখানেক পরেই, ২১ আগস্ট নিজেই হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন শেখ হাসিনা। দেশব্যাপী বোমা হামলা, জঙ্গিদের আস্ফালন ও নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ সমাবেশের ডাক দিয়েছিল ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। সমাবেশ চলাকালেই একাধিক আর্জেস গ্রেনেডের বিস্ফোরণে রক্ত বন্যা বয়ে যায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে। ওই হামলায় নিহত হন আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী। হামলার সময় শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে দেহরক্ষী কুষ্টিয়ার মাহবুব নিজের জীবন বিপন্ন করেন।

বারবার আওয়ামী লীগ হামলার টার্গেট হওয়া প্রসঙ্গে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে বহুবার নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানী প্রেতাত্মারা তাতে সফল হয়নি। ২০০৪ সালের ৭ আগস্ট এবং পরবর্তীতে ২১ আগস্ট কাপুরুষের মতো গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। বিএনপি-জামায়াত সরকারের মদদেই হামলা হয়েছিল।’

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২১ আগস্ট ২০১৯/আরআই-কে

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন