আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

সাংবাদিক আমিনুলের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি তাহিরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৮-২১ ১৬:৪৩:২৬

তাহিরপুর প্রতিনিধি :: তাহিরপুর প্রেসক্লাব সভাপতি, সমকাল ও সুনামগঞ্জের খবর প্রতিনিধি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভূয়া ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে তাহিরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

বুধবার দুপুরে তাহিরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ উপলক্ষে এক জরুরী সভার আয়োজন করা হয়।

তাহিরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি ও যায়যায়দিন প্রতিনিধি বাবরুল হাসান বাবলুর সভাপতিত্বে জরুরী সভায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন- প্রেসক্লাব উপদেষ্টা রমেন্দ্র নারায়ন বৈশাখ, সাধারণ সম্পাদক, ইত্তেফাক প্রতিনিধি আলম সাব্বির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মানবজমিন প্রতিনিধি এম.এ রাজ্জাক, অর্থ সম্পাদক, ভোরের কাগজ প্রতিনিধি এস এম সাজ্জাদ শাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক, সংবাদ প্রতিনিধি কামাল হোসেন, সিলেট ভয়েস ২৪.ডটকম প্রতিনিধি আবির হাসান মানিক, সুনামগঞ্জের সময় প্রতিনিধি সামায়ুন কবীর, মুবিনূর মিয়া প্রমূখ।

জরুরী সভায় সাংবাদিকরা বলেন, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম ছাত্র জীবন থেকেই তিনি আওয়ামীলীগ করে আসছেন। তাহিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের দুই বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি (১৯৮৮-১৯৯০,১৯৯০-২০১)। ২০০৩ সালে গঠিত তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালের তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতেও তিনি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করছেন। তাহার জন্মসনদ ও এএসসি পরীক্ষার সনদ অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ পহেলা আগষ্ট ১৯৭১ সাল। ১৯৭১ সালে যখন পাকিস্থানী হানাদারের বিরুদ্ধে যখন যুদ্ধ শুরু হয় তখন তার বয়স ছিল ৫ মাস। আর এই ৫মাসের শিশু কিভাবে যুদ্ধাপারাধে জড়িত থাকে তা নিয়ে উপজেলা জুড়ে নানান প্রশ্ন উঠেছে।

প্রসঙ্গত: গত মঙ্গলবার একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের উপজেলার ভাটি তাহিরপুর গ্রামের জাতীয় দৈনিক সমকালের তাহিরপুর প্রতিনিধি ও সুনামগঞ্জের খবর এর স্টাফ রিপোর্টার আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে তাহিরপুর আমল গ্রহণকারী বিচারিক হাকিম আদালতে একটি মামলা করেন উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের দুধের আউটা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজাফর আলী। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে,আমিনুল ইসলাম চিহ্নিত খুনি, লুটেরা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পরিবারের সন্তান। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তাদের পরিবার এলাকায় লুটপাট, হত্যা, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। অভিযুক্ত আসামি আমিনুল ইসলাম শান্তি কমিটির সক্রিয় সদস্য হিসেবে সোর্সের দায়িত্ব পালন করেছেন।

সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম এসব অভিযোগ অশ^ীকার করে বলেন, আমার পরিবার ও আমার বিরোদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সব বানোয়াট ও মিথ্যা। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ যখন শুরু হয় তখন আমার বয়স মাত্র ৫ মাস। তিনি আরো বলেন, সামনে আওয়ামীলীগের কাউনসিলকে কেন্দ্র করে আমার প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক কেরিয়ার বিনষ্ট করতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে একজন বীর মুক্তিযুদ্ধাকে ভুল বুঝিয়ে আমার বিরোদ্ধে এসব অভিযোগ করানো হয়েছে ।

এ বিষয়ে মামলার বাদী বীর মুক্তিযোদ্ধা সজাফর মিয়া জানান, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম নামে কোন ব্যক্তির সঙ্গে আমার পরিচয় নাই। আমি কারো বিরোদ্ধে যুদাধাপরাধে অভিযোগে মামলা করেনি। তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার মুক্তিযোদ্ধা রৌজ আলীর সঙ্গে আমার ব্যাক্তিগত বিষয় নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছে। আর এ বিষয় নিয়ে আমি একটি লিখিত অভিযোগ দিতে গেয়েছিলাম সুনামগঞ্জে, এর চেয়ে বেশী কিছু জানেন না বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।



সিলেটভিউ২৪ডটকম/২১ আগস্ট ২০১৯/এমএআর/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন