আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বিশ্বনাথের কৃষিতে বাড়ছে প্রযুক্তির ব্যবহার

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৮-২২ ০০:০৫:৩০

প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, বিশ্বনাথ :: তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে দেশের সকল ক্ষেত্রের মতো পাল্টাচ্ছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার কৃষিখাত। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বাড়ছে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার। আর প্রযুক্তির ছোঁয়ায় পাল্টে যাচ্ছে কৃষির চিত্র। প্রবাসী অধ্যুষিত বিশ্বনাথ উপজেলার কৃষিখাতের বড় সমস্যা আর সংকট সমাধানের জন্য সময়মতো ধানের চারা রোপনে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে ‘রাইস ট্রান্সপ্লান্টার’ মেশিনের ব্যবহারে।

কৃষিতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারে সুফল পাচ্ছেন কৃষকরা। প্রযুক্তির ব্যবহারে চাষাবাদের ক্ষেত্রে সময় বাঁচার পাশাপাশি কমে আসছে কৃষকদের ব্যয়ও। ফলে ‘রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন’ দিয়ে ধানের চারা রোপনের পাশাপাশি কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহারে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কৃষিতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরকার কৃষকদেরকে ৭০% ভর্তুকি দিচ্ছে। আর এতে করে সহজেই প্রযুক্তির এযুগে কৃষিযন্ত্রের ব্যবহারের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন কৃষকরা। শুধু তাই নয় অল্প খরচে, স্বল্প সময়ে ও জনবলের চাহিদা মতো জমি চাষ করতে পারায় বীজতলা তৈরি, চারা উৎপাদন, রোপন, ধান কাটা, মাড়াই ও খড় সংগ্রহসহ কৃষিকাজের সবক্ষেত্রেই এখন ব্যবহার করা হচ্ছে প্রযুক্তি। আর উপজেলার ৮ ইউনিয়নে থাকা ৮টি রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন ধানের চারা রোপনের এ মৌসুমে উপজেলায় থাকা শ্রমিক সংকট ধীরে ধীরে দূর করেছে।

বিশ্বনাথ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী বলেন, সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২০৩০ সালে খাদ্য উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ করতে হবে। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে কৃষিকে যান্ত্রিকিকরণের বিকল্প নেই। এরই ধারাবাহিকতায় যন্ত্রপাতিতে ভর্তুকির মাধ্যমে কৃষকদের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। কৃষিযন্ত্রের ব্যবহারে খুব সহজেই সম্পন্ন হচ্ছে চাষাবাদের কাজ।

উপজেলার রজকপুর গ্রামের কৃষক মনোহর হোসেন মুন্না বলেন, প্রযুক্তির এ যুগে কৃষিকে এগিয়ে নিতেই ইতিমধ্যে আমি প্রথমবারের মতো রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন দিয়ে প্রায় দেড় একর জমিতে আমন ধানের চারা রোপন করছি। আমার লক্ষ্য প্রায় ৫ একর জমিতে এই মেশিনের মাধ্যমেই আমন ধানের চারা রোপন করার। আর আশা করছি প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে এবছর পূর্বের চেয়ে বেশি ফসল উৎপাদন করতে সক্ষম হব।

খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় কৃষি যন্ত্রপাতি টেস্টিং ও ট্রেনিং সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা উপজেলার আলাপুর গ্রামের কৃষক জাবের হোসেন বলেন, রাইছ ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন দিয়ে গত বোরো মৌসুমে প্রায় ১৫ একর জমিতে ধানের চারা রোপন করি এবং কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটি। এতে অল্প খরচে ও কম সময়ে আমি ভাল সুফল পেয়েছি। কৃষকরা প্রশিক্ষণ ও যন্ত্রপাতি পেলে যেমন অনাবাদি জমি হ্রাস পাবে, তেমনি কৃষিতে যন্ত্রপাতি ব্যবহারে ব্যাপক চাহিদা বাড়বে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২২ আগস্ট ২০১৯/পিবিএ/পিডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন