আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং
শাবি প্রতিনিধি :: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্ট। ওইদিন বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদের হাসিমাখা একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনাও হচ্ছে।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায়, গত ১৫ আগস্ট ক্যাম্পাসে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দেওয়ার সময় জহির উদ্দিন আহমেদ হাসিমুখে অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে একাধিক ছবি তুলেছেন। সাথে থাকা অন্যান্যদের মুখেও হাসি দেখা যায়।
গেল কয়েক দিন ধরে ফেসবুকে এসব ‘হাসিমাখা’ ছবি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তচিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকদের প্যানেলের সাথে রাজনীতি করে আসা অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদের বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
মো. মোশারফ খান নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, “হাসি আনন্দে জাতীয় শোক দিবস পালনে তারাই শ্রেষ্ঠ। শোকের দিনে পিতা মুজিবের ভাস্কর্য এর সামনে তার হাসি মুখ ১৫ আগস্টের প্রেতাত্মাদের কথা মনে করিয়ে দেয়। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
রিয়াদ হোসেন আকাশ নামে একজন লিখেছেন, “প্রক্টর মুখে বঙ্গবন্ধু আদর্শের কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দেখান। কিন্ত তিনি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কি আসলেই ধারণ করেন? ধারণ করলে কীভাবে জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে দাঁত কেলিয়ে হাসেন? ধিক্কার জানাই এরকম মুখোশদারী চেতনাবাজদের।”
অনুজ সরকার নামে একজন লিখেছেন, “হাসি আনন্দে জাতীয় শোক দিবস পালনে তারাই শ্রেষ্ঠ! লজ্জা থাকা দরকার।”
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক জহির উদ্দিনের আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তখন অপ্রস্তুত অবস্থায় অন্য আরেকটা প্রসঙ্গে দূর থেকে কেউ কথা বলেছে। সেই কথার প্রেক্ষিতে এই পরিস্থিতি (হাসি) তৈরি হয়েছিল। আর অন্য কিছু না।’
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৫ আগস্ট ২০১৯/মাসুদ/আরআই-কে