আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

আম্বরখানা-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে ট্রাকের স্ট্যান্ড, পর্যটকদের ভোগান্তি

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৯-১০ ১৭:১২:৪৭

এম এ মতিন, গোয়াইনঘাট :: বাংলাদেশের অন্যতম ব্যস্ততম মহাসড়কটির নাম সিলেট আম্বরখানা-ভোলাগঞ্জ মহাসড়ক। সড়কটিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক নাম করণ করা হয়েছে।

দেশের ব্যস্ততম এই মহাসড়ক দিয়ে গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও সিলেট সদর উপজেলার সিংহভাগ মানুষ চলাচল করে থাকেন। এছাড়াও দেশের বৃহৎ পাথর কোয়ারি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ, উৎমা, গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি ও জাফলংয়ের পাথরবাহী হাজার হাজার ট্রাক চলাচল করে থাকে।

অপরদিকে, এ মহাসড়ক দিয়ে জাফলং, বিছনাকান্দি, জলারবন রাতারগুল, ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর, পান্তুমাই ও মায়াবতী ঝর্ণায় প্রতিদিন কয়েক হাজার দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আগমন ঘটে। জনগুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম এই সড়কের উপর একটি মহল সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ডিস্ট্রিক্ট ট্রাকের স্ট্যান্ড স্থাপন করে উল্লেখিত তিন উপজেলার সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি দেশ বিদেশ থেকে আগন্তুক পর্যটকদের ভোগান্তির সৃষ্টি করেছে।

সরেজমিন পরিদর্শন কালে দেখা যায়, মহাসড়কটির বিমানবন্দর বাইপাস থেকে ওই মহলটি মহাসড়কের উপর ট্রাক স্ট্যান্ড করা শুরু করে এবং সালুটিকর বাজার পর্যন্ত পাথর বাহী এ সকল ট্রাকের লাইন বিদ্যমান। ফলে প্রতিদিন জনগুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কে তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়ে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন হাজার সাধারণ যাত্রী ও দেশ বিদেশ থেকে আসা পর্যটক। ট্রাক চালকেরা মহাসড়কের উভয় পার্শ্বে নিজ নিজ ট্রাক স্ট্যান্ড করে রাখার ফলে সৃষ্ট যানযট দিনে দিনে যাত্রী সাধারনের ক্ষোভের সঞ্চার সৃষ্টি করেছে।

ঢাকা শহর থেকে গোয়াইনঘাটের বিছনাকান্দির উদ্দেশ্যে আসা পর্যটক রাসেল আহমদ সিলেটভিউ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঢাকা শহর পাড়ি দেয়ার পর কোথায় ধোপাগুল এলাকার মত এত তীব্র যানযট চোখে পড়েনি।

তিনি বলেন, চালকদের অসতর্কতা, হাইওয়ে পুলিশের গাফিলতি ও প্রশাসনের চোখের সামনে কি ভাবে মহাসড়কের উভয় পার্শ্বে অবৈধভাবে ট্রাক স্ট্যান্ড করে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

স্থানীয়রা কর্তৃপক্ষের নিকট জোড়ালো আবেদন করেছেন পর্যটক ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথ বিবেচনা করে মহাসড়ক থেকে অবৈধ ট্রাকের স্ট্যান্ড বন্ধ করতে।
সিলেট জেলা সড়ক ও জনপদ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান জানান, এভাবে ট্রাকগুলি সড়কের উপর থাকলে সড়ক ভেঙ্গে যাবে। রাস্তা থেকে ট্রাকগুলি ট্রাক সরাতে হবে। 

সিলেট ট্রাফিকের উপ কমিশনার ফয়ছল মাহমুদ বলেন, ধোপাগুল এলাকায় যে ট্রাকগুলি ডুকে পর্যাপ্ত স্থান না থাকায় এ সমস্যাটা হচ্ছে। পুলিশের পক্ষে থেকে তাদেরকে একলাইনে রাখার জন্য বলা হয়েছে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯/এমএএম/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন