Sylhet View 24 PRINT

টেকনিক্যাল ক্যাডারের দাবিতে সিকৃবিতে কৃষি প্রকৌশলীদের মানববন্ধন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৯-১২ ১৯:০৭:১৩

সিকৃবি প্রতিনিধি :: বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) টেকনিক্যাল ক্যাডার চালুসহ চাকরির বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদের শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর একই দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে এ মানববন্ধন করে সিকৃবি শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধ চত্বরে এ মানববন্ধন করেন তারা। শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করে অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন প্রফেসর ড. পিযুষ কান্তি সরকার, কৃষি শক্তি ও যন্ত্র  বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক  ড. মুহাম্মদ রাশেদ আল মামুনসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৬৪ সালে কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরী অনুষদের যাত্রা শুরু হয়। প্রতি বছরই কৃষি প্রকৌশলী হিসেবে বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে বহুসংখ্যক গ্র্যাজুয়েট বের হচ্ছেন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ক্রমশই কমে যাচ্ছে কৃষি প্রকৌশলীদের চাকরির ক্ষেত্র। প্রায় নেই বললেই চলে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনান্য অনুষদের শিক্ষার্থীরা তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ থাকলেও কৃষি প্রকৌশলীরা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিতে প্রযুক্তির ছোঁয়া আনতে নির্বাচনী ইশতেহারে আধুনিক কৃষি ব্যবস্থার লক্ষ্যে যান্ত্রিককরণের কথা উল্লেখ করেছেন। আর এটি কেবল সম্ভব প্রতিটি উপজেলায় কমপক্ষে একজন করে কৃষি প্রকৌশলী নিয়োগদানের মাধ্যমে। কিন্তু কৃষি প্রকৌশলীরা সন্তোষজনক চাকরি না পেয়ে অন্য পেশায় ঝুঁকে পড়ার কারণে কৃষিতে প্রযুক্তির ছোয়াঁ তেমনভাবে লাগছে না। এ বিষয়ে সরকারের সুদৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।

এ সময় শিক্ষকবৃন্দ জানান, বিসিএস কৃষি প্রকৌশলীদের জন্য টেকনিক্যাল ক্যাডার না থাকায় কৃষি প্রকৌশলীরা কৃষকের দোরগোড়ায় গিয়ে সেবা দিতে পারছে না। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্যান্য অনুষদ এ সুবিধা পেলেও কৃষি প্রকৌশলীরা তা পাচ্ছেন না। এছাড়া কৃষি প্রকৌশলীদের চাকরির ক্ষেত্র দিনকে দিন কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (বিএই),  বাংলাদেশ ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠান (ব্রি) প্রভৃতি সরকারী প্রতিষ্ঠানে খুবই সীমিত সংখ্যক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। যা খুবই উদ্বেগজনক।

উল্লেখ্য,  এর আগে ১৯৬৪ সালে এই অনুষদ চালুর পর থেকে একই দাবিতে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯/সাইফুর/আরআই-কে

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.