আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

জৈন্তাপুর থেকে ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেফতার

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৯-১৬ ১৭:৪৩:০৪

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি :: জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নিজেই অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেন।

আসামী ছাতারখাই গ্রামের মৃত আলাউর রহমানের ছেলে মারুফ(২০)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলা দরবস্ত ইউনিয়নের ছাতারখাই গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক পরিবারের মেয়ে তার বসত বাড়ীর আঙ্গীনায় রোদ্রে শুকানো কাপড় আনতে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী উৎ পেতে থাকা লম্পট মারুফ। ঐ যুবতীকে ঝাপটে ধরে মুখ বেঁধে নাম্বার বিহীন সিএনজি গাড়ীতে তুলে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ধর্ষণ করে।

এদিকে বাড়ীর লোকজন যুবতী মেয়েকে না পেয়ে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজে থাকেন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায় মধ্যে গভীর রাতে মুখ বাঁধা অবস্থায় বাড়ীর নিকটবর্তী রাস্তার এনে ফেলে যায় লম্পট মারুফ। ঘটনাটি জৈন্তাপুর মডেল থানায় অবহিত করে যুবতীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।

এঘটনায় মেয়ের পিতা বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযোগটি  নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/০৩) এর ৭/৯(১) ধারায় মামলা হিসাবে রেকর্ড করে (যাহার নং-১০)।

গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে ১৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বনিক এসএমপি পুলিশের সহায়তায় সিলেট জেলার নাইওরপুল এলাকায় একক অভিযান পরিচালনা করে মারুফ(২০) কে আটক করতে সক্ষম হন।

অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বনিক জানান, ইতোমধ্যে পর পর আমার থানা এলাকায় একটি অপহরন এবং দুটি ধর্ষণ মামলা হয়। থানা পুলিশের গঠিত “টিম জৈন্তাপুর” অভিযান পরিচালনা করে আসামী আটক করে ভিকটিম উদ্ধার করে। গোপন সংবাদে ভিত্তিত্বে আমি ধর্ষকের অবস্থান যানতে পেরে সিএমপি’র সহায়তায় থাকে আটক করি। ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় আদালতে প্রেরণ করি। ভিকটিম ওসিসিতে ভর্তি রয়েছে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯/এমএইচ/এসডি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন