আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

‘মসজিদের নাম ব্যবহার করে জায়গা আত্মসাতের পাঁয়তারা চলছে’

সংবাদ সম্মেলনে ঘাসিটুলার জাকারিয়া জাকুরের অভিযোগ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১০-০৯ ১৬:৩১:৪৫

সিলেট :: সিলেট নগরীর ঘাসিটুলায় মসজিদের নাম ব্যবহার করে এবং মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে একটি সংঘবদ্ধচক্র মৌরসি ভূ-সম্পত্তি আত্মসাতের চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেছেন একই এলাকার বাসিন্দা মো. জাকারিয়া জাকু।

বুধবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে জাকারিয়া জাকু বলেন, ঘাসিটুলা মসজিদের মোতাওয়াল্লী পরিচয়দানকারী মো. সামসুজ্জামান ও তার সহযোগী আব্দুল করিম, জিলাল, আব্দুল মতিন, দিলাল, ইরান, শাহজাহান চক্র স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সম্পর্কে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

তিনি বলেন, বাগবাড়ি মৌজার জেএল নং ৯০ এর এসএ খতিয়ান নম্বর ২৩৪ এর দাগ নং ২৩৪০, ২৩৪১, ২৩৪২, ২৩৪৩, ২৩৪৪, ২৩৪৫, ২৩৪৬, ২৩৪৭, ২৩৫৩, ২৩৫৭, ২৩৫৮ এবং ১৭৩৫ নম্বর অর্থাৎ মোট ১২টি দাগের ভূমির পরিমাণ ৩.৯৫ একর। এই ভূমি রহিম বক্স ও তার পূত্র আব্দুল গনি, আব্দুল মান্নান, আব্দুল মনাফ প্রত্যেকে ৪ আনা অংশে এবং আব্দুল হেকিমের পুত্র আব্দুন নুর ৩ আনা ১০ গন্ডা অংশে এবং আব্দুল হেকিমের স্ত্রী সমীরা বানু ১০ গন্ডা অংশের মালিক স্বত্ববান থাকা অবস্থায় ১৯৫০ সালে রাষ্ট্রীয় অর্জন ও প্রজাস্বত্ত¡ আইন কার্যকরী হলে ১৯৫৬ সালে সেটেলমেন্ট জরিপ আরম্ভ হয়। বর্ণিত জরিপে উল্লেখিত ২৩৪ নং খতিয়ানে আমার পূর্ববর্তী আব্দুল মনাফের ৪ আনা অংশসহ অপরাপর শরীকানগণের নাম রেকর্ডভূক্ত হয়। সে মতে আমি আব্দুল মনাফের ক্রমিক উত্তরাধিকারী হিসেবে ৩.৯৫ একরের মধ্যে ৪ আনা অংশে আমারসহ শরীকানগণের সাথে শান্তিপূর্ণ ও নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রত্যেকের অংশ আপোস চিহ্নিতভাবে ভোগ দখল করে আসছি। আমাদের শরীকানদের মধ্যে আইনগত বাটোয়ারার জন্য আদালতে বাটোয়ারা মোকদ্দমা চলমান রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জাকারিয়া জাকু বলেন, ২৩৪০ নম্বর দাগে ১০ শতক ও ২৩৪৪ নম্বর দাগে ১৫ শতকসহ মোট ২৫ শতক ভূমিতে আমার পূর্ববর্তী আব্দুল মনাফের মালিকানা থাকলেও সেখানে মসজিদ থাকায় আমরা কোনকালেও কোন দাবি-দাওয়া উত্থাপন করিনি। বরং মসজিদকে সর্বোচ্চভাবে সহযোগিতা করে আসছি।

তিনি বলেন, আমার ও শরীকানদের ভূমির প্রতি সামসুজ্জামান ও তার সহযোগীদের লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে। আমাদের অস্বচ্ছলতা ও নিরীহতার সুযোগ নিয়ে আমাদের স্বত্ব দখলীয় ভূমি তারা অবৈধভাবে দখল করার উদ্দেশ্যে পবিত্র মসজিদের নাম ব্যবহার করছে। তারা এ বিষয়ে সত্য গোপন করে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। অসত্য তথ্য দিয়ে আমার এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নাম জড়িয়ে প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের সুনাম।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/০৯ অক্টোবর ২০১৯/এসজেডপিসি/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন