আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

‘সিটি নির্বাচনে পরাজিত শক্তিরা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করছে’

সংবাদ সম্মেলন ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল মো. সিকন্দর আলীর অভিযোগ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১০-০৯ ১৬:৩৯:১৫

সিলেট :: গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত শক্তিরা অপপ্রচার সহ নানা ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন ১২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সিকন্দর আলী।

বুধবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

এ সময় তিনি জানান, ‘পরাজিত অপশক্তিরা জনগন থেকে ধিকৃত হয়ে এখন আমার পরিবারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে। এমনকি তারা আমার মৃত পিতার নামে কুরুচীপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছে। যা কোনো ভাবেই কাম্য হতে পারে না।’

সংবাদ সম্মেলনে ৪ বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর মো. সিকন্দর আলী জানান, সিলেট নগরীর শেখঘাট একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকা। কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকে বৃহত্তর শেখঘাটের সামাজিক বন্ধনকে সূদৃঢ় রয়েছে। কিন্তু একটি স্বার্থান্বেষী মহল বার বার এই সামাজিকতায় আঘাত করার চেষ্ঠা করছে। গত সিটি নির্বাচনে তারা প্রতিদ্বন্ধিতা করে পরাজিত হয়। এরপর থেকে তারা নানাভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সিলেট সদর মৎস আতদার কল্যান সমাবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক, পঞ্চায়েতি কমিটি মুরব্বী ও শেখঘাট জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির জয়েন সেক্রেটারী জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে।

কাউন্সিলর জানান, তার ভাইরা ক্যাসিনো কিংবা জুয়ার সঙ্গে জড়িত নয়। শেখঘাট কিংবা কাজিরবাজার এলাকায় কোনো অসামাজিক কার্যকলাপ হচ্ছে না। এসবের বিরুদ্ধে বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকার মানুষ সক্রিয় রয়েছেন। 

অপপ্রচারের কারন তুলে ধরে সিকন্দর আলী জানান, সিলেটের প্রাচীনতম কাজিরবাজার নিয়ে এক শ্রেনীর লোকের গাত্রদহ অনেক পুরনো। নতুন ব্রিজ তৈরীর সময় তারা চেয়েছিলো ঐতিহ্যবাহী মৎস আড়তকে অন্যত্র নিয়ে নিতে। কিন্তু জাহাঙ্গীর আলম সহ বাজারের ব্যবসায়ীরা এখানে বাজার স্থাপন করেন। তখনকার অর্থমন্ত্রী ও সাবেক মেয়র আমাদের ব্যবসায়ীদের কথা বিবেচনা করে বাজারটি পুনরায় পূর্বের স্থলে নিয়ে আসেন। ওই ঘটনার সময় থেকে বাজারের বিরুদ্ধে নানা কুৎসা রটিয়ে আসছে ওই মহল। শেখঘাটের রুবেল আহমদ নামের এক ব্যক্তি সব সময় এই অপপ্রচার রটাচ্ছে। রুবেল আগে কয়েকবার কারাগারে গেছে। সর্বশেষ চুরি ও হামলার ঘটনায় ৬-৭ মাস আগে মামলায় কারাগারে ছিলো। এখন এক মহিলাকে নিয়ে সম্প্রতি এলাকায় সুদের কারবার শুরু করেছে। আর জামায়াত নেতা মহিবুর রহমান মিয়ার ছেলে বর্তমান যুবলীগ নেতা শামীম আহমদ যুবলীগের নাম ব্যবহার করে দোকান দখল সহ নানা ঘটনা ঘটাচ্ছে। শেখঘাটের পিছের মুখ এলাকার বেঙ্গল অটোমেটিক রাইসমিলের মালিক হাফিজ মিয়ার একটি দোকান কোটা সে দখল করে আছে। এ নিয়ে কয়েক বার আমি সালিশ হয়েছে। কিন্তু শামীম সালিশ বৈঠকের সিদ্বান্ত মেনে দোকান কোটা ছেড়ে যায়নি। তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ প্রতিবাদী হওয়ার কারনে তারা অপপ্রচারে মেতে উঠেছে। 

সংবাদ সম্মেলনে সিকন্দর আলী জানান, তাদের শেখঘাটের বাড়ি ব্যাংক থেকে ঋন নিয়ে তৈরী করা হয়েছে। এখনো ঋনের টাকা তারা মাসে মাসে পরিশোধ করেন। মৌরসী সূত্রে পাওয়া এ বাড়িটি দখল করার প্রশ্নই উঠে না বলে দাবি করেন তিনি। ভাঙ্গাটিকর এলাকায় যে বাগানবাড়ির কথা বলা হয়েছে সেটি মুলত গরু রাখার অস্থায়ী ঘর। ওই জমির মালিকও জাহাঙ্গীর নয়। সব কিছুর সুষ্টু তদন্ত না করে মনগড়া ভাবে যা ইচ্ছা তা লিখে অপপ্রচার রটানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে প্রশাসন সহ সকল মহলের প্রতি আহবান জানান। একই সঙ্গে তিনি সুষ্টু তদন্তপূর্বক অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনেরও দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- সিলেট সদর মৎস আতদার কল্যান সমাবায় সমিতির সভাপতি ফয়জুল হক, কোষাধ্যক্ষ সিরাজুল হক, সাবেক কোষাধ্যক্ষ মখলিস মিয়া, লালবাজারের ব্যবসায়ী ফজলু মিয়া ও আছকির আলী।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/০৯ অক্টোবর ২০১৯/এসজেডপিসি/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন