আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

চারুনীড়ম ইনস্টিটিউটের সিলেট শাখার মহাপরিচালক হলেন রজত কান্তি

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১০-১০ ১৯:০০:৪৮

সিলেট :: নাট্যকর্মী ও সাংস্কৃতিক সংগঠক রজত কান্তি গুপ্ত “চারমাত্রিক সাংস্কৃতিক আন্দোলন”র সংগঠন ‘চারুনীড়ম ইনস্টিটিউট’র সিলেট শাখার মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। ঢাকায় চারুনীড়ম ইনস্টিটিউট’র চেয়ারম্যান বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সাংস্কৃতিক সংগঠক গাজী রাকায়েত তাঁকে সংগঠনের শপথ বাক্য পাঠ করান।

দেশের ৬৪টি জেলায় এই সংগঠনের শাখা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে মাতৃভাষা, মুক্তিযুদ্ধ, বটমূল ও চলচ্চিত্র-সংস্কৃতির এই চারটি মাত্রাকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কাজ করবে। গেল বুধবার ঢাকায় একই দিনে শপথ নেন কক্সবাজার ও ফেনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালকদ্বয়ও। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক চর্চাকে আরও বেগবান করতে চারুনীড়ম ইনস্টিটিউট জেলা পর্যায়ে নাট্যরতœ, কথা অমৃতসমান, গীতগায়ন এবং নৃত্যলাবণ্য পুরস্কার প্রদান করবে। আগামী ২০২০ সাল থেকে শুরু হবে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা।

চারুনীড়ম ইনস্টিটিউট’র একযুগ পূর্তিতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মূল মঞ্চ জাতীয় নাট্যশালায় এক আড়ম্ভরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সারাদেশের সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ‘সুসিহমৌ’ অঞ্চলের সিলেট জেলার মহাপরিচালক হিসেবে সিলেটের সাংস্কৃতিক সংগঠক রজত কান্তি গুপ্তের নাম ঘোষণা করা হয়। ওইদিন তাঁকে উত্তরীয় পড়িয়ে বরণ করেন দেশের বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউটের সভাপতি নাট্যজন রামেন্দ্র মজুমদার। আগামী ১১ অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী জেলা পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু হবে। উল্লেখ্য, রজত কান্তি গুপ্ত সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেট’র সাধারণ সম্পাদক ও নাট্যমঞ্চ সিলেট’র সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

চারুনীড়ম ১৯ সংখ্যাতত্ত্বে বিশ্বাসী। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ, ৯০’র গণতন্ত্র, ২০০৯-এ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তিকে পরাজিত করার জন্য গণতান্ত্রিকভাবে একটি রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে জনগণের রায়ের বহিঃপ্রকাশ এবং একই সঙ্গে ২০০৯ সনেই চারুনীড়ম ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা হয়। এই সব ঘটনাই ঘটেছে ১৯ বছর পর পর। গণজাগরণের এই ১৯ সংখ্যাটিকেই বেছে নিয়েছে সংগঠনের কাঠামো গঠনে। সংস্কৃতির মুক্তধারাকে সুষ্ঠুভাবে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সারা বাংলাদেশকে ভাগ করা হয়েছে ১৯টি অঞ্চলে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ঘর হয়ে উঠুক সুন্দর শান্তিময়, হয়ে উঠুক চারুনীড়ম।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১০ অক্টোবর ২০১৯/ প্রেবি/আরআই-কে

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন