বিশ্বনাথে প্রভাবশালী কর্তৃক খালে অবৈধ বাঁধ নির্মাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ‘মির্জা খাল’র উপর প্রভাবশালী কর্তৃক ২টি অবৈধ বাঁধ নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবৈধভাবে বাঁধ দুটি নির্মাণের ফলে স্থানীয় ইকরাম বিলে পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। আর বিলে পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে সব চেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন এলাকার কৃষকরা।

মির্জা খালের উপর অবৈধভাবে নির্মিত বাঁধ দুটি উচ্ছেদের দাবীতে গত সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বর্ণালী পাল বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকাবাসী। লিখিত অভিযোগে উপজেলার সদর ইউনিয়নের শ্বাসরাম গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ২৫ জন ব্যক্তির স্মাক্ষর রয়েছে।

লিখিত অভিযোগে এলাকাবাসী উল্লেখ করেছেন, উপজেলার শ্বাসরাম মৌজার জেএল নং ৭২, খতিয়ান নং ১, ১৪২৭ ১৪২৮ দাগে সরকারি অনুমতি ছাড়া শ্বাসরাম গ্রামের মৃত তবারক আলীর পুত্র মঈন মিয়া কর্তৃক মির্জা খালের উপর অবৈধভাবে ২টি বাঁধ নির্মাণ করে ইকরাম বিলের পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। বাঁধ দুটির মধ্যে একটি পাকা করে ও অপরটি মাটি ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে। আর অবৈধভাবে বাঁধ দুটি নির্মাণের ফলে ইকরাম বিলে রোপনকৃত আমন ধান পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ হওয়ার ফলে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন কৃষকেরা। তাই জনস্বার্থে এলাকাবাসি দ্রুত মঈন মিয়া ও মতছির আলীর বাড়ির সামনে নির্মিত ‘পাকা ও মাটির দিয়ে নির্মিত’ বাঁধ দুটি উচ্ছেদ করে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোরদাবী জানিয়েছেন।

অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেছেন শ্বাসরাম গ্রামের শামীম আহমদ, কছির আলী, মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, সামুল আলী, জয়দুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, ফয়ছল আহমদ, আবদুল লতিফ, আহমদ আলী, তাজির আলী, কাদির মিয়া, ছালিক মিয়া, মোস্তফা মিয়া, নুরুজ আলী, উছমান উল্লাহ, লিটন মিয়া, আখলাকুর রহমান, রাজা মিয়া, আবদুল মতিন, বোরহান উদ্দিন, লুৎফুর রহমান, রহমান আলী প্রমুখসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিবর্গ।

লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বর্ণালী পাল বলেন, তদন্ত সাক্ষেপে এব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১০ অক্টোবর ২০১৯/প্রঞ্জয়/জেএসি