আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

ওসমানীনগরে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের চেষ্টা, অবশেষে মামলা নিল পুলিশ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১০-১৪ ১৮:২২:৪৮

ওসমানীনগর প্রতিনিধি :: সিলেটের ওসমানীনগরের এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্ঠা ও শ্লীতাহানীর ঘটনায় অভিযোগ দায়েরের এক সপ্তাহ পর অবশেষে মামলা নিয়েছে পুলিশ।

ধর্ষণের মতো ঘটনায় মামলা নিতে গড়িমসি করলেও সাজানো অভিযোগ তদন্ত ছাড়াই মামলা রুজু করে আসামী ধরার অভিযোগ রয়েছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, গত ৬ অক্টোবর সকালে প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিল উমরপুর ইউনিয়নের এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রী। পথিমধ্যে খাদিমপুর গ্রামের ছুরাব আলীর ছেলে উজ্জ্বল মিয়া(২৬) জোর পূর্বক একজনের বাড়ির পরিত্যাক্ত টয়লেটে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা ও শ্লীতাহানী করে। চিৎকার শোনে ওই বাড়ির লোকজন ছুটে এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এসময় বখাটে উজ্জ্বল পালিয়ে যায়। ঘটনার পর মেয়েটি বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দেয়। এঘটনায় ৮অক্টোবর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন ভিক্টিমের বাবা। অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব পান থানার এসআই শফিকুল ইসলাম।

এ বিষয় নিয়ে স্থানীয় বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত একাধিক সভা করে দোষিকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। পরবর্তী সময়ে আসামীপক্ষের লোকজন মেয়ের বাবার ওপর হামলা চালালে এলাকাবাসি এসে রক্ষা করেন। এসময় নির্যাতিতার পরিবার ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে  তাৎক্ষণিক তদন্তকর্মকর্তা শফিকুল ইসলামকে জানানো হলেও তিনি আসতেছি বলে আর ঘটনাস্থলে জাননি এবং পরবর্তীতে তাকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোনও রিসিভি করেননি।

অভিযোগের ব্যাপারে ঘটনাটি জানতে এলাকাবাসির পক্ষ থেকে রবিবার শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে  এসআই শফিকুল ইসলাম ক্ষেপে গিয়ে উল্টো বাদি পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে জিডি করার হুমকী দেন শফিকুল।

গত রবিবার বিষয়টি সাংবাদিকদের নজরে আসার বিষয় জানতে পারে পুলিশ। একই দিন ওসি আল মামুন বদলি হলে রাতেই অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেয়া হয়। নারী নির্যাতনের মতো ঘটনায় মামলা নেয়ার ব্যাপারে তদন্তের জন্য দেরি হয়েছে বলে জানান এসআই শফিকুল। তবে ওই এসআই সাবেক ওসি মামুনের আনুগত্য হয়ে রুকনপুর গ্রামের সাজানো চাঁদাবাজীর ঘটনা তদন্ত ছাড়াই মামলা রুজু তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে শিক্ষকের বসত বাড়ি উচ্ছেদে সহায়তা করায় এলাকাবাসির মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।

রবিবার বিকালে প্রশাসনিক কারনে ওসি এস এম আল মামুনকে বদলি করা হলেও ধর্ষনের চেষ্ঠার অভিযোগ তদন্তের নামে গরিমসি ও তদন্তছাড়া শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা নিয়ে বসতঘর উচ্ছেদেও সহায়তা করা সেই বির্তকিত তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শফিকুল ইসলাম এখন বহাল তবিয়তে থাকায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা চলছে।

ভিক্টিমের পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের চেষ্ঠার অভিযোগ করার পর মামলা নিতে গরিমসি করা হয়। তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই শফিকুল অজ্ঞাত কারণে তদন্তের নামে কাল ক্ষেপন করেন। আসামীপক্ষের আক্রমনের শিকার হয়ে তার সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোন গুরুত্ব দেননি। এ অবস্থায় মামলা রুজু করার পর তদন্তের দ্বায়িত্ব বির্তকিত এসআই শফিকুল ইসলামকে দেয়ায়  মামলার নিরপক্ষ তদন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতারে বিষয়  নিয়েও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।

এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি পূজা ও রুকনপুরের ঘটনায় ব্যস্থ থাকার কারনে ওই অভিযোগটির তদন্তে দেরি হওয়ায় মামলা নেয়া হয়নি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওই স্কুল ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগগুলি অস্বীকার করেন তিনি।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৪ অক্টোবর ২০১৯/আরপি/এসডি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন