আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারের সাথে সিলেট চেম্বার নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১০-২২ ১৪:০৮:১৪

সিলেট :: মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার বলেছেন, বাংলাদেশের গার্মেন্ট্স সেক্টর অত্যন্ত শক্তিশালী। কিন্তু শ্রমিকের নিরাপত্তা এখানে পর্যাপ্ত নয়। বাংলাদেশের তৈরী পোশাক খাতে শ্রমিকের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।

সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর. মিলারের সাথে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী কমিউনিটি দিন দিন বাড়ছে। সেই সাথে ‘ইকোনমিক টাই’ও শক্তিশালী হচ্ছে। গত বছর দুই দেশের মধ্যে ৪.২ বিলিয়ন ডলারের দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য হয়েছে। এই বাণিজ্য সম্পর্ককে বৃদ্ধি করতে দুই দেশের বাণিজ্য সংক্রান্ত নীতি সমূহের সংস্কার প্রয়োজন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে যতগুলো আমেরিকান কোম্পানী রয়েছে সেগুলোতে প্রায় ৯৫ ভাগ বাংলাদেশী শ্রমিক কাজ করে। এতে বিশাল একটি জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান হয়েছে।

তিনি জানান, বাংলাদেশে এখন প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমান বাণিজ্য প্রতিনিধিদল আসে। তিনি এসব প্রতিনিধিদলকে সিলেট সফরের পরামর্শ দিবেন বলে জানান।

সভাপতির বক্তব্যে সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার অত্যন্ত ব্যবসা বান্ধব। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক খাতে যুক্তরাষ্ট্রের অবদান অনস্বীকার্য।

তিনি বলেন, গত বছরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪.৯ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বাংলাদেশী শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারবর্গের জন্য আমেরিকান ভিসা প্রাপ্তি সহজীকরণের আহবান জানান।

তিনি বলেন, সিলেট অঞ্চল ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, শিক্ষা, চিকিৎসা, ফুড প্রসেসিং, পাওয়ার প্লান্ট, আইটি পর্যটন সহ সকল খাতে বিনিয়োগে সম্ভাবনাময়। দুই দেশের বিনিয়োগকারীরা এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দারুণভাবে লাভবান হতে পারেন। তিনি সিলেটে নির্মাণাধীন শ্রীহট্ট ইকোনমিক জোন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের আহবান জানান।

তিনি সাবেক বিখ্যাত মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “আই ওয়াক ¯েøালি, বাট আই নেভার ওয়াক বেকওয়ার্ড”। ঠিক তেমনিভাবে সম্মিলিত ও পরিকল্পিতভাবে চলতে থাকলে আমরা অবশ্যই সফল হবো বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিলেট চেম্বারের সহ সভাপতি তাহমিন আহমদ, পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, ফখর উস সালেহীন নাহিয়ান, শাবিপ্রবির সহযোগী অধ্যাপক ড. ফজলে এলাহী মোহাম্মদ ফয়সল, বিনিয়োগকারী ফখরুল ইসলাম চৌধুরী, ফাহিম আহমদ চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, ডা. আজিজুর রহমান।

সভা সঞ্চালনা করেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র অফিসার মিনতি দেবী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউএস এম্বেসীর পলিটিকাল এন্ড ইকোনমিক কাউন্সেলর ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন, কর্মকর্তা অ্যানে শারমেন, সিলেট ক্যাডেট কলেজের প্রিন্সিপাল লেঃ কর্নেল শরিফ আমান হাসান, এনএসআই এর অতিরিক্ত পরিচালক মনসুর আহমেদ, ডিজিএফআই এর মেজর তারেক, সিলেট চেম্বারের পরিচালক মো. মামুন কিবরিয়া সুমন, মো. সাহিদুর রহমান, পিন্টু চক্রবর্তী, মুশফিক জায়গীরদার, ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, আলীমুল এহছান চৌধুরী, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী, মো. আমিনুজ্জামান জোয়াহির, খন্দকার ইসরার আহমদ রকী, সাবেক সভাপতি ফারুক আহমদ মিছবাহ, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি মো. হিজকিল গুলজার, সাবেক সহ সভাপতি মো. দিলওয়ার হোসেন, জুবায়ের আহমদ চৌধুরী, সাবেক পরিচালক এনামুল কুদ্দুছ চৌধুরী, এজাজ আহমদ চৌধুরী, মুকির হোসেন চৌধুরী, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহ সভাপতি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, বিনিয়োগকারী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জিল্লুর রহমান সুমন, রানা ফেরদৌস চৌধুরী, মো. অলিউর রহমান, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তাপস দাস পুরকায়স্থ, সাংবাদিক উজ্জ্বল মেহেদী, দোহা চৌধুরী, মুহিত চৌধুরী, সিলেট ওমেন্স চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি স্বর্ণলতা রায় প্রমুখ।        


সিলেটভিউ২৪ডটকম/২২ অক্টোবর ২০১৯/প্রেবি/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন