আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

কবিগুরুকে নিবেদিত কবিতা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১১-১১ ২১:১৬:৩২

সিলেট :: সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত কবি মোফাজ্জল করিম বলেছেন, বাংলা সাহিত্য ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অবিচ্ছেদ্য অংশ। রবীন্দ্রনাথকে বাদ দিয়ে কখনও বাংলা সাহিত্য কল্পনাও করা যায় না। কবিগুরু ছিলেন মুক্তচিন্তার মানবতাবাদী কবি। রবীন্দ্রচর্চার প্রতি  আরও বেশি বেশি মনোনিবেশের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যকে আরও সমৃদ্ধিশালী করতে ভূমিকা রাখবে। সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও শুদ্ধ সাহিত্যচর্চার মাধ্যমেই কেবল অসা¤প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব। সমাজ কিংবা রাষ্ট্রীয় জীবনে ভরে উঠুক সাহিত্যের শুদ্ধতায়। জাতীয় জীবনে বয়ে আসুক সমৃদ্ধিশালী সমাজ কাঠামো। মানবিক মূল্যবোধের উন্মেষ ঘটুক, সে প্রত্যাশায়।


পান্ডুুলিপি প্রকাশন, সিলেট ও রোটারি আন্তর্জাতিক জেলা ৩২৮২, বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগে শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেটের দরগাহ গেইটস্থ কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্যসভা হলে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রোটারিয়ান এম আতাউর রহমান পীর সম্পাদিত ‘কবিগুরুকে নিবেদিত কবিতা’ কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান ও  রবীন্দ্রনাথের শ্রীভূমি : শতবর্ষে ফিরে দেখা শীর্ষক আলোচনা এবং আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিদ সম্মাননা প্রদান-২০১৯ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

পান্ডুলিপি প্রকাশন-এর স্বত্বাধিকারী লেখক ও প্রকাশক বায়েজীদ মাহমুদ ফয়সল এর সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক ফয়ছল আলম এর সঞ্চালনায় এতে প্রধান আলোচক আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. বিশ্বতোষ  চৌধুরী বলেন, বাংলা সাহিত্যের অমর প্রাণপুরুষ, বাংলা কবিতার মহান বরপুত্র, বাংলা, বাঙালির অতি আপনজন, বাংলা সাহিত্যাকাশে নক্ষত্র বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথ প্রাণের কবি, প্রেমের কবি, জীবনের কবি, প্রকৃতির কবি, গানের কবি সর্বোপরি মানুষের ভালোবাসার কবি। আর তাই কবি ও মানুষ রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যপ্রিয়, প্রকৃতিপ্রিয়, সব মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় এক বিশেষ স্থান দখল করে আছেন।

তিনি আরও বলেন, এই বিশাল সুন্দর পৃথিবীতে যতদিন রবে সূর্য, চন্দ্র-তারা আর পাখি গাইবে গান, নদী বইবে ধারা, ততদিন পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ অতি উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে সাহিত্য ও মানুষের মাঝে আলো ছড়াবেন। এ কথা ঠিক, মানুষ রবীন্দ্রনাথ সশরীরে আমাদের মধ্যে নেই, তার উপস্থিতি কেউ কোনোদিন আর কখনো দেখতে পাবে না, তবে তিনি মানুষের মধ্যে সতত তার কর্মের-গুণের জন্য বেঁচে থাকবেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। প্রকৃত সৃষ্টিকর্ম এবং সৃজনশীল ব্যক্তিকে কোনো কিছুর বিনিময়ে মুছে ফেলা যায় না। প্রত্যেক সৃজনশীল মানুষ তার সৃজনশীল কাজের দ্বারাই সমাজ ও মানুষের কাছে বেঁচে থাকে।


অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বিশিষ্ট কলামিষ্ট, লেখক ও গবেষক বেলাল আহমদ চৌধুরী।স্বাগত বক্তব্য রাখেন-দৈনিক শুভ প্রতিদিনের সাহিত্য সম্পাদক খালেদ উদ-দীন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ,লেখক ও গবেষক প্রফেসর নন্দলাল শর্মা, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. বরুণজ্যোতি চৌধুরী ও সহকারী অধ্যাপক ড. রমাকান্ত দাস। সংবর্ধিত অতিথি আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রামী চক্রবর্তী। অন্যান্যদের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ সিলেটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কর্নেল (অব.) সৈয়দ আলী আহমদ, কবি ও গল্পাকার ডা. এম এ জলিল চৌধুরী প্রমুখ।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১১ নভেম্বর ২০১৯/জুআচৌ



শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন