আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং
ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি :: সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় গেল ৮ নভেম্বর কিশোর সুমন মিয়াকে নির্যাতন করে তার অটোরিকশাটি ছিনতাই করে নিয়ে যায় এক দুষ্কৃতিকারী। এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ প্রকাশ করে সিলেটভিউ২৪ডটকম। এ নিয়ে তোলপাড় হয় ফেঞ্চুগঞ্জে। এ প্রেক্ষিতে আজ বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায় ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসিসহ পুলিশের একটি দল।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কিশোর সুমন মিয়ার হাত বেঁধে রাখায় ব্যবহৃত রশি ও তার জুতা আলামত হিসেবে জব্দ করে। এছাড়া সেখানে রক্তের ছোপ ছোপ দাগও দেখতে পায় পুলিশ।
এ ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান জানান, ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। সিলেটের পুরাতন রেলস্টেশন এলাকা থেকে ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে কাজ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, নির্যাতনে শিকার কিশোর সুমন মিয়া উপজেলার ছত্তিশ গ্রামের সালেখ মিয়ার ছেলে।
সুমন মিয়া সিলেটভিউকে জানায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যার পরে একজন যাত্রী ফেঞ্চুগঞ্জের ইলাশপুর যাবেন বলে তার অটোরিকশায় উঠেন। ফেঞ্চুগঞ্জ সেতু পার হওয়ার পরে যাত্রীবেশী ওই ব্যক্তি অটোরিকশা থামােতে বলেন। পরে ‘ওপাশে আমার বাড়ি থেকে একটি বস্তা আনবো, আমাকে সাহায্য করো’ বলে কৌশলে তাকে (সুমন) পশ্চিম মল্লিকপুর এলাকার একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যান। সেখানে সুমনের হাত বেঁধে ঘুষি দিয়ে অজ্ঞান করে ফেলেন ওই ব্যক্তি। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার গাল কেটে দিয়ে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
সুমন জানায়, জ্ঞান ফিরলে সে পাকা পিলারে ঘষে হাতের নাইলনের দড়ি (রশি) কেটে ভেন্টিলেটর দিয়ে বাইরে আসে।
জানা গেছে, সুমন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। তার মুখে ২১০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৩ নভেম্বর ২০১৯/ফরিদ/আরআই-কে