সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১১-১৫ ০০:০৬:৪১
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণের পদ্ধতি নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা কাটছে না। কমিটি কিভাবে এবং কবে গঠন করা হবে এ নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র ও জেলার দায়িত্বশীল নেতারা ভিন্ন বক্তব্য প্রদান করছেন। অন্যদিকে, কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া এবং এ নিয়ে নেতাদের আচরণে হতাশা বিরাজ করেছে তৃনমূলে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) গোলাপগঞ্জ আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের জন্য কাঙ্ক্ষিত এই সম্মেলন সমাপ্ত হয়েছে বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে। দীর্ঘ ১৬ বছর পর এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও এদিন নেতৃত্ব নির্ধারণ করা হয়নি। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদের নেতৃত্ব নির্ধারণে কেন্দ্র ও জেলার নেতারা সমঝোতার প্রস্তাব দিলে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন উপজেলার কাউন্সিলররা। কাউন্সিলররা ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্ধারণের জন্য শ্লোগানের মাধ্যমে কেন্দ্র এবং নেতাদের আহবান জানান। এ নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হলে নেতৃত্ব নির্ধারণ না করেই পুলিশি প্রহরায় সম্মেলনস্থল কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আসেন নেতারা। পরে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা উপজেলা চৌমুহনী চত্বরে বিক্ষোভ, সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের এক দিন পার হয়ে গেলেও নেতৃত্ব নির্ধারণের ব্যাপারে কোনো সুরাহা হয়নি। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) পার্শ্ববর্তী উপজেলা বিয়ানীবাজারের সম্মেলনে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেও গোলাপগঞ্জে কাউন্সিলরদের দাবি না মানায় হতাশ হয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেন সিলেটভিউকে বলেন, গোলাপগঞ্জে ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব বাছাইয়ের কোনো পরিবেশ ছিলো না। এ উপজেলার নতুন নেতৃত্ব জেলা আওয়ামী লীগ নির্ধারণ করবে। পরবর্তীতে তা গণমাধ্যমে প্রেরণ করা হবে।
তবে একই বিষয়ে ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সায়ফুল আলম রুহেল। তিনি জানান, আমরা গোলাপগঞ্জ উপজেলার কমিটি গঠনের বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারিনি। আগামী ১৯ নভেম্বর গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগকে নিয়ে আমরা বসবো। পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
গোলাপগঞ্জ উপজেলার নেতৃত্ব নির্ধারণের বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন সেখানকার তৃনমূলের নেতাকর্মীরা। তারা জানিয়েছেন, একজন নেতার পছন্দের ব্যক্তি ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্বে আসতে পারবেন না জেনেই এ উপজেলায় ভোট আয়োজন করা হয়নি। দীর্ঘ ১৬ বছর পর আমরা পছন্দ অনুযায়ী নেতৃত্ব নির্ধারণে আগ্রহী ছিলাম। অনেক অনুরোধের পরও কেন্দ্র এবং জেলার নেতারা সে বিষয়ে রাজি না হয়েই গোলাপগঞ্জ ত্যাগ করেছেন।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৫ নভেম্বর ২০১৯/পিডি