আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বিশ্বনাথে ভূমি অফিসের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ দাবীর অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১১-১৮ ২০:২৯:০৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলার সদর ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আনিত ঘুষ দাবীর অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা-তুজ-জোহুরার নেতৃত্বে বিষয়টি তদন্ত কালে অভিযুক্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবী করার মতো কোন প্রমাণ দিতে পারেননি অভিযোগকারী এড. আবদুর রাজ্জাক। উল্টো ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে করা তার (রাজ্জাক) অভিযোগটি তিনি তুলে নিচ্ছেন বলে তদন্ত কমিটির কাছে লিখিত দেন।

উল্লেখ্য, ১৪ নভেম্বর বিশেষ সেবা নাম্বার ৩৩৩-এ কল করে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবীর অভিযোগ করেন উপজেলার বিশ্বনাথেরগাঁও গ্রামের এড. আবদুর রাজ্জাক। এছাড়া ভূমি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবীর অভিযোগ এনে ‘অ্যাডভোকেট আবদুর রাজ্জাক ও বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশন’র ফেইসবুক আইডিতে পোস্ট করা হয়।

জানা গেছে, উপজেলার দূর্য্যাকাপন গ্রামের প্রবাসী জমসেদ আলীর পক্ষে তার আত্মীয় নরসিংপুর গ্রামের আবদুস সালাম গত ২ অক্টোবর প্রবাসী ভূমির খাজনা পরিশোধ করেন। খাজনা পরিশোধের পর সালাম নিজে স্বাক্ষর দিয়ে ৯৫২ টাকার খাজনার রশিদও নিয়ে যান। উক্ত ভূমির খাজনা দিতে এসে সালামকে ইতিপূর্বে ফেরত আসতে হয়েছে এক পক্ষের আপত্তি থাকার কারণে। এরপর সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র হস্তক্ষেপে সেই আপত্তি নিষ্পত্তি করার পরই খাজনা পরিশোধ করেন আবদুস সালাম। অভিযোগ উঠে, উক্ত ভূমির মালিকানা দূর্য্যাকাপন গ্রামের মৃত মবশ্বির আলীর পুত্র আজিজুর রহমান চৌধুরীর নাম কর্তন করে একই গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার পুত্র প্রবাসী জমসেদ আলীর নামে নামজারী করে দেওয়ার জন্য প্রায় ১ বছর পূর্বে ২৫ হাজার টাকায় প্রবাসীর আত্মীয় আবদুস সালামের সাথে চুক্তি করেন এড. আবদুর রাজ্জাক। আর খাজনা পরিশোধ শেষে সেই ভূমি নামজারী করার আবেদন করা হলে ভূমি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম সরেজমিনে তদন্তে যেতে চাওয়ায় সমস্যার সৃষ্টি হয়। এড. আবদুর রাজ্জাক চেয়েছিলেন ভূমি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম সরেজমিনে না গিয়েই নামজারীর কাজ সম্পন্ন করতে। তাতে জাহাঙ্গীর রাজী না হওয়াতে উল্টো তাকে (জাহাঙ্গীর) ঘুষ দেওয়ায় পায়তারা করেন এড. আবদুর রাজ্জাক। আর তাতেও ভূমি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম রাজী না হওয়ার খাজনা দেওয়ার প্রায় ১ মাস পর ঘুষ দাবীর অভিযোগ এনে তার (জাহাঙ্গীর) বিরুদ্ধে ৩৩৩ নাম্বারে ঘুষ দাবীর অভিযোগ ও ফেইসবুকে পোস্ট করা হয়।

সদর ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৯৫২ টাকার খাজনা দিয়ে নিজে স্বাক্ষর দিয়ে রশিদও সংগ্রহন করেছেন আবদুস সালাম। নামজারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে যেতে চাইলেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়। ৯৫২ টাকার বাইরে আমি আর কোন টাকা চাইনি বা এব্যাপারে কিছু জানিও না।

এব্যাপারে এড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ভুল বুজাবুঝির কারণে ভূমি কর্মকর্তার সাথে একটি সমস্যা সৃষ্টি হয়ে ছিল, তা আমরা সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান করেছি। আমার অভিযোগও আমি লিখিতভাবে তুলে নিয়েছি। আর জমসেদ আলীর মামলা পরিচালনা করার জন্য আমি আইনগত ফি হিসেবে ২৫ হাজার টাকা নিয়েছি। এর সাথে নামজারীর কোন সম্পর্ক নেই।

বিশ্বনাথ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা-তুজ-জোহুরা বলেন, সদর ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবী করার মতো কোন প্রমাণই দিতে পারেননি অভিযোগকারী এড. আবদুর রাজ্জাক। ফলে ঘুষ দাবীর অভিযোগটি সম্পূর্ণ রুপে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। বরং ভূমি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ তুলে নিতে চান বলে আবদুর রাজ্জাক আমার কাছে লিখিত দিয়েছেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম / ১৮ নভেম্বর ২০১৯/ পিবিও/এসএইচ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন