আজ মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪ ইং

সিলেটে বিআরটিএ কার্যালয়ে আবেদনের হিড়িক

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১১-২০ ০০:১১:০১

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :: হঠাৎ করেই আবেদনের হিড়িক পড়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সিলেট কার্যালয়ে। গেল অক্টোবর মাসে লাইসেন্স পেতে যতো সংখ্যক আবেদন পড়েছিল, চলতি নভেম্বর মাসের প্রায় অর্ধেক যেতেই সে সংখ্যা পেরিয়ে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ কার্যকরের পর থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং যানবাহনের নিবন্ধন পেতে বিআরটিএ সিলেট কার্যালয়ে বেড়েছে আবেদনের পরিমাণ।

বিআরটিএ সিলেট কার্যালয় থেকে জানা গেছে, গেল অক্টোবর মাসে তিন হাজার ৫৩০ জন লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিলেন। চলতি নভেম্বর মাসের ১৭ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করেছেন তিন হাজার ৩৬০ জন।

বিআরটিএ কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইনের কড়াকড়ির কারণে চলতি মাসে আবেদনের পরিমাণ গেল মাসের চেয়ে দ্বিগুণ হতে পারে।

বিআরটিএ সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সানাউল হক বলেন, ‘নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হওয়ার ফলে আবেদনকারীদের সংখ্যা বেড়েছে। অতিরিক্ত চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে অফিস সময়ের বাইরেও অতিরিক্ত সময় কাজ করে আমরা সেবাপ্রত্যাশীদের সেবা দিচ্ছি।’

জানা গেছে, চলতি নভেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে দেশে নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হয়। তবে প্রচারণায় ঘাটতি থাকায় শুরুতে এ আইনে শাস্তি বা জরিমানা প্রদান করা হয়নি। গত সোমবার থেকে শুরু হয় এ আইনের পুরো কার্যক্রম।

নতুন আইনের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ধারা হলো- সড়কে গাড়ি চালিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হত্যা করলে ৩০২ অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে, সড়কে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালালে বা প্রতিযোগিতা করার ফলে দুর্ঘটনা ঘটলে তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। আদালত অর্থদণ্ডের সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে দেয়ার নির্দেশ দিতে পারবে, মোটরযান দুর্ঘটনায় কোন ব্যক্তি গুরুতর আহত বা প্রাণহানি হলে চালকের শাস্তি সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল ও সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরযান বা গণপরিবহন চালানোর দায়ে ছয় মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড, নিবন্ধন ছাড়া মোটরযান চালালে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা, ফিটনেসবিহীন ঝুঁকিপূর্ণ মোটরযান চালালে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড, ট্রাফিক সংকেত মেনে না চললে এক মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দণ্ডিত করা হবে।
 
এছাড়াও সঠিক স্থানে মোটর যান পার্কিং না করলে বা নির্ধারিত স্থানে যাত্রী বা পণ্য ওঠানামা না করলে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বললে এক মাসের কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, একজন চালক প্রতিবার আইন অমান্য করলে তার পয়েন্ট বিয়োগ হবে এবং এক পর্যায়ে লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে, গণপরিবহনে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি বা আদায় করলে এক মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দণ্ডিত করা হবে।
 
নতুন আইন অনুসারে, ড্রাইভিং লাইসেন্সে পেতে হলে চালককে অষ্টম শ্রেণি পাস এবং চালকের সহকারীকে পঞ্চম শ্রেণি পাস হতে হবে হবে। এক্ষেত্রে আগে শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন প্রয়োজন ছিল না। গাড়ি চালানোর জন্য বয়স অন্তত ১৮ বছর হতে হবে। এই ধারা আগেও ছিল।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২০ নভেম্বর ২০১৯/আরআই-কে

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন