আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের জকিগঞ্জে আওয়ামীলীগ নেতার বাড়িতে নির্মম ভাবে নির্যাতন করা হয় ভাইরাল হওয়া ভিডিওর নির্যাতিত যুবক গিয়াস উদ্দিনকে (৩৫)। উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে স্থান পাওয়ার একদিন পর আজ বৃহস্পতিবার এবাদ মেম্বারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গতকাল বুধবার জকিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি ঘোষণা করে জেলা শাখা। কমিটিতে রাখা হয় কাজলসার ইউনিয়নের সদস্য এবাদ মেম্বারকে। আর এই এবাদ মেম্বারের উঠানে গিয়াসকে হাত-পা বেঁধে বাঁশের সঙ্গে ঝুলিয়ে পৈশাচিক ভাবে নির্যাতন করা হয়।
জানা গেছে, আটগ্রাম এলাকায় সালাম মেম্বার ও এবাদ মেম্বারের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলে কথা বলতে পারেনা বলে জানিয়েছেন এই এলাকার এক ব্যক্তি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ ব্যক্তি জানান, এখানে কোন আইন আদালত নেই। আইন তারা তাদের নিজের হাতে তুলে নেন সবসময়। এলাকার বিভিন্ন বিচার-আচার করেন তাদের নিজের তৈরী করা আদালতে।
ভারতে পালানোর পথে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে সালাম মেম্বারকে কানাইঘাটের কাড়াবাল্লা এলাকা থেকে আটক করা হয়। এর আগে সালামের অপর ৩ সহযোগীকে আটক করে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ। তারা হল এবাদ মেম্বার, আনোয়ার, ও শাহজাহান।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি উপজেলার ৩নং কাজলশার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম ওরফে ফকির মাস্তান একই ইউনিয়নের বড়বন্দ গ্রামের মৃত সফর আলীর ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৩৫)কে বাঁশের সঙ্গে ঝুলিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে পায়ের নিচে বেধড়ক মারপিট করে নির্যাতন করছেন। নির্যাতনের শিকার যুবক চিৎকার, চেচামেচি ও বাঁচার আকুতি করতেও দেখা যায়। এরপরও আব্দুস সালামের নির্যাতন থেমে থাকেনি। বুধবার রাতে নির্যাতনের এই ভিডিও ভাইরাল হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
বিষয়টি সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিনের নজরে আসলে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ আজ বৃহস্পতিবার তাদের ৪ জনকে গ্রেফতার করে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২১ নভেম্বর ২০১৯/ জুআচৌ