Sylhet View 24 PRINT

‘ফুড পান্ডা’র বিরুদ্ধে ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা কেটে নেয়ার অভিযোগ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১২-০১ ১৭:৪২:২৬

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :: সিলেটে ‘ফুড পান্ডা’র বিরুদ্ধে ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা কেটে নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। তাদের অ্যাপস ব্যবহার করে কোনো ধরনের খাবারের অর্ডার না দেওয়ার পরও ক্রেডিট কার্ড থেকে তারা টাকা কেটে নিয়েছে।

ফুড পান্ডা’র বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) তারেক ইসলাম।

‘ফুড পান্ডা’ হচ্ছে অ্যাপসভিত্তিক একটি সেবাধর্মী সার্ভিস। তাদের অ্যাপস ব্যবহার করে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের খাবারের অর্ডার দেওয়া যায়। অর্ডার অনুসারে তারা নির্দিষ্ট ঠিকানায় খাবার পৌঁছে দেয়।

তারেক ইসলাম জানান, গত ২৪ নভেম্বর ফুড পান্ডার অ্যাপস ব্যবহার করে তিনি নগরীর একটি রেস্টুরেন্টের খাবারের অর্ডার করেছিলেন। সে অর্ডারে বিল আসে ৮৭১ টাকা। অর্ডার অনুসারে তিনি নিজের বাসায় খাবার পান। ওই সময় তার ক্রেডিট কার্ড থেকে ৮৭১ টাকা কেটে নেওয়া হয়।

তিনি জানান, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মোবাইল ফোনে ইস্টার্ন ব্যাংক থেকে এসএমএস আসে যে তার ক্রেডিট কার্ড থেকে ৯০০ টাকা ৩২ পয়সা কেটে নিয়েছে ফুড পান্ডা। ফুড পান্ডা থেকে এ বিষয়ে একটি ইমেইলও আসে তার ব্যক্তিগত ইমেইলে।

তারেক ইসলাম সিলেটভিউকে বলেন, ‘শুক্রবার আমি ফুড পান্ডায় কোনো খাবারের অর্ডার করিনি। আমার বাসায় তারা কোনো খাবারও সরবরাহ করেনি। কিন্তু তারপরও আমার ক্রেডিট কার্ডের নাম্বার ব্যবহার করে তারা টাকা কেটে নিয়েছে।’

এদিকে, টাকা কেটে নেওয়ার বিষয়ে ফুড পান্ডার সাথে যোগাযোগ করেন তারেক ইসলাম। ফুড পান্ডার বিশ্বজিৎ নন্দী নামের একজন তাকে জানান, যে মেইল এসেছে, সেটি দেওয়ার জন্য। সেই মেইল পাঠানোর পর শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা থেকে ফুড পান্ডার দায়িত্বশীল এক মহিলা কর্মকর্তা তারেকের সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি বিষয়টি দেখছেন বলে জানান। পরে সন্ধ্যা ৬টায় ফোন করে ওই মহিলা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ২৪ ঘন্টা সময় নেন।

বিষয়টি নিয়ে ফুড পান্ডার সিলেট এরিয়া অপারেশন্স ম্যানেজার নিয়ামুল এলাহী ইমনের সাথে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেন তারেক ইসলাম। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।

তবে সিলেটভিউ থেকে নিয়ামুল এলাহী ইমনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কেউ অর্ডার না করলে তার ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা কেটে নেয়ার কোনো সুযোগই নেই। তিনি অ্যাপস ব্যবহার করে খাবার অর্ডার করার পর অনলাইনেই পেমেন্ট করেছিলেন সম্ভবত। পরে কোনো কারণে সেই অর্ডার ক্যান্সেল করে দেন। এক্ষেত্রে অর্ডার হয়ে যাওয়ায় টাকা কেটে নেয়া হয়ে থাকতে পারে। তবে পরে তিনি ক্যান্সেল করে থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যে টাকা তার কার্ডে ফেরত যাবে।’

ইমন জানান, ফুড পান্ডায় দুটি পদ্ধতিতে বিল পেমেন্ট করা যায়। একটি হলো রাইডার (খাবার বহনকারী বাহক) খাবার নিয়ে যাওয়ার পরে ক্যাশ টাকা দেয়া। আরেকটি হলো অ্যাপস ব্যবহার করে অনলাইনে পেমেন্ট দেয়ার পর খাবার সরবরাহ করা।

তারেক ইসলাম যে অভিযোগ করেছেন, সেটি খতিয়ে দেখার কথাও বলেছেন ফুড পান্ডার এই কর্মকর্তা।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১ ডিসেম্বর ২০১৯/আরআই-কে

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.