আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দলকে সম্পৃক্ত করতে চান রাজ উদ্দিন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১২-০৩ ০০:২২:১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক :: আর মাত্র দুই দিন পর অনুষ্ঠিত হবে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে একটি বিষয়ই আলোচনায় কারা আসছেন আগামীতে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। তবে উত্তরটি জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরো দুদিন।

এখন পর্যন্ত সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে যে কয়েকজনকে নিয়ে তুমুল আলোচনা হচ্ছে তাদের মধ্যে অন্যতম একজন বর্তমান কমিটির সহ সভাপতি এডভোকেট মো. রাজ উদ্দিন।

আসন্ন সম্মেলন নিয়ে প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় প্রচারবিমুখ নেতা এডভোকেট মো. রাজ উদ্দিনের। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ায় নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। সিলেট মহানগরীর সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এখন সম্মেলন সফলে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। সকলের সহযোগিতায় একটি সুন্দর সম্মেলন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

নিজের প্রার্থীতা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি নিজে থেকে বিশেষ কোন পদে প্রার্থী হতে আগ্রহী ছিলাম না। কিন্তু গত কিছুদিনে নেতাকর্মীদের আগ্রহ ও আমার শুভাকাঙ্খীদের পরামর্শে আসন্ন সম্মেলনে সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছি। তবে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব ঠিক করে দেন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আমাকে যেখানে যোগ্য মনে করবেন আমি সেখানেই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত আছি। এডভোকেট রাজ উদ্দিন বলেন, আমি পদ-পদবীর রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। পদ-পদবি ছাড়াও রাজনীতি করা যায়।

সম্মেলন কেন্দ্রীক প্রচার প্রচারণা নিয়ে তিনি বলেন, বিলবোর্ড, ব্যানার ফেস্টুনের মাধ্যমে অনেকেই দেখি সম্মেলনের নামে নিজের প্রচারণা চালাচ্ছেন। আমি এর পক্ষে নই। আমরা মহানগর আওয়ামী লীগ থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত জানিয়ে তোরণ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং এতে আমরা সকলে মিলে অর্থায়ন করেছি।

নেতৃত্ব পেলে সাবেক ছাত্রনেতাদের মুল্যায়ন করার পাশাপাশি দলের ভাবমূর্তি উজ্জল করতে কাজ করবেন জানিয়ে এডভোকেট রাজ উদ্দিন বলেন, বর্তমান সময়ে রাজনীতিতে ক্লিন ইমেজের নেতাকর্মীদের খুব প্রয়োজন। আমি নেতৃত্বে এলে সাবেক ছাত্রনেতা যাদের স্বচ্ছ ইমেজ রয়েছে তাদেরকে সম্পৃক্ত করব এবং দল ও নেত্রীর ভিশন বাস্তবায়নে কাজ করব।

নিজে নেতৃত্বে না এলেও আগামীর নেতৃত্বের প্রতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আছে। আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, দুর্নীতিমুক্ত দেশে পরিনত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু আমাদের দলের কিছু কলুষিত নেতাকর্মীর কারণে তার সকল অর্জন নষ্ট হয়ে যায়। আমি আশা করি আগামীর নেতৃত্ব এসব বিষয়ে নজর দেবেন এবং সরকারের সকল কাজের সহযোগিতার হাত বাড়াবেন। সরকার যে পথে চলবে, দলকেও সেই পথেই পরিচালিত করতে হবে।

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার চেচান গ্রামে জন্ম নেয়া এডভোকেট রাজ উদ্দিনের পিতা সুনাহর আলী ১৯৭০ সাল থেকে দীর্ঘদিন ছাতকের খুরমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন, এছাড়া তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠকও ছিলেন।

২০০৪ সালে সিলেটের গুলশান সেন্টারে বোমা হামলায় গুরুতর আহত হওয়া এডভোকেট রাজ উদ্দিন রাজনীতির বাইরেও সিলেটের একজন বিজ্ঞ আইনজীবী। তিনি সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সমাজকল্যাণ সম্পাদক, সহ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সিলেট জেলা শাখার সহ সভাপতি এবং জাতীয় পরিষদ সদস্য ছিলেন। তিনি ২০০৩ সালে মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মনোনীত হন। এরপর ২০১১ সালে গঠিত কমিটিতে তিনি সহ সভাপতির দায়িত্ব পান।

বিভিন্ন সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক সংগঠনের সাথেও জড়িত রয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি সিলেটস্থ সুনামগঞ্জ সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং সিলেট বিভাগীয় যাত্রীকল্যাণ সমিতির সমন্বয়কের দায়িত্বে রয়েছেন। গত কয়েকমাস আগে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে বিআরটিসি বাস বন্ধের দাবীতে শ্রমিকদের করা আন্দোলনের সময়ও তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি সিলেট রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/৩২ ডিসেম্বর ২০১৯/ডিজেএস

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন