আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

জকিগঞ্জে শিক্ষা খাতে শুধু নেই আর নেই!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১২-০৯ ০৯:৪১:১৭

জকিগঞ্জ প্রতিনিধি :: জকিগঞ্জ উপজেলার শিক্ষা খাতে শুধু নেই আর নেই! উপজেলার ৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই, ২৬টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের ৮০টি পদই শূন্য। শিক্ষা অফিসও রয়েছে জনবল সংকটে। ৬৮টি বিদ্যালয়ে নেই দপ্তরী। এসব কারণে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে, বাড়ছে প্রশাসনিক জটিলতা।

শিগগিরই সব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে পড়াশোনার পরিবেশ বজায় রাখার দাবি সংশ্লিষ্টদের।

জকিগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষক সংকট, শিক্ষার্থী ঝরে পড়া ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকটসহ বহু সমস্যা বিরাজমান রয়েছে। এ উপজেলায় ১৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৯টি বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক, ৮০ জন সহকারি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার ৬টি পদের মধ্যে ৪টি পদ, উচ্চমান সহকারী, অফিস সহকারী, হিসাবরক্ষক ও পিয়নসহ ৫টি পদের মধ্যে ৪টি পদই শূন্য। এ কারণে শিক্ষা অফিসের কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। জনবল সংকটের কারণে কোনোমতে চলছে শিক্ষা অফিসের কার্যক্রম। এদিকে, একটি বিদ্যালয়ের দপ্তরী দিয়েই চলছে পিয়নের কাজ।

জানা গেছে, উপজেলার ৩৮টি বিদ্যালয়ে নেই ওয়াশরুম। অনেক বিদ্যালয়ে রয়েছে নলকূপের সংকট। উপজেলার সবকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৫ হাজার ৭৭২জন শিক্ষার্থী খাতাপত্রে উল্লেখ থাকলেও এর মধ্যে প্রায় ২ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত হয় না। ফলে ঝরে পড়ার হার থামছে না।

উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফোরামের আহবায়ক ও বারঠাকুরী ইউপির চেয়ারম্যান মহসিন মর্তুজা চৌধুরী টিপু সিলেটভিউকে বলেন, ‘শিক্ষকের পদ শূন্য থাকলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ঠিক রাখা অসম্ভব। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সভায় এ বিষয়ে একাধিকবার বলা হয়েছে। উনারা আমাদেরকে আশ্বস্থ করেছেন নতুন শিক্ষক নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়ার পর খালি পদগুলো পূরণ করবেন।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা সিলেটভিউকে বলেন, ‘ঝরে পড়া রোধ করতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি, মিড-ডে মিল, বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে। ২০২০ সালে সরকার প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নতুন বইয়ের সাথে নগদ ২ হাজার টাকা করে দেবে। ঝরে পড়া রোধ করতে আমরা নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে ঝরে পড়ার হার কমে আসবে।’

শিক্ষক ও দপ্তরী সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যেসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট রয়েছে সেই বিদ্যালয় সমূহের তালিকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষক সংকট দূর হবে। দপ্তরী নিয়োগ নিয়ে জটিলতা রয়েছে। এ জটিলতা নিরসন হলেই দপ্তরী নিয়োগ করা হবে।’

সিলেটভিউ২৪ডটকম/৯ ডিসেম্বর ২০১৯/আহাতা/আরআই-কে/মিআচৌ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন