আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং

কেউ কথা রাখেননি, গ্রামবাসীরা শুরু করলেন ‘স্বপ্নের জনতা ব্রিজ’

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১২-১২ ০০:৩২:০৭

দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বহুল প্রত্যাশিত মৌলা নদীর উপর ‘স্বপ্নের জনতা ব্রিজ’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।

বুধবার বিকালে উপজেলার ১নং বাংলাবাজার ইউনিয়নের কলোনী গ্রামবাসীর সম্মিলিত অর্থায়নে পাহাড়ি মৌলা নদীর উপর ওই ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ধন মিয়াসহ এলাকাবাসী। প্রাথমিক পর্যায়ে গ্রামবাসীর নিজ অর্থায়নে ১০ লাখ ব্যয়ে ১০টি পিলার তৈরির মাধ্যমে এ মহৎ উদ্যোগ নেন স্থানীয়রা। ‘স্বপ্নের জনতা ব্রিজ’ নামে ওই সেতুর নির্মাণকাজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ধন মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য সুরুজ ভূঁইয়া, সাংবাদিক এম এ মোতালিব ভূঁইয়া, সমাজসেবি হাজি জুনাব আলী, মাহমদ আলী, কবির সরকার, মজি মিয়া, দরবেশ আলী, বদরুল ইসলাম, সুজন মিয়া, হোসেন মিয়া, নুরুল ইসলাম খা ও জামাল মিয়াসহ এলাকার বিশিষ্টজনরা।

উল্লেখ্য, জন্মলগ্ন থেকে বর্তমান ডিজিটাল যুগেও কথিত কলোনী গ্রামে হাট বাজার, চিকিৎসাকেন্দ্রসহ কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়নি। সেই আদিযুগ থেকেই গ্রাম সংলগ্ন পাহাড়ি মৌলা নদীর উপর জীবনের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো পাড়ি দিয়ে সুদুর বাংলাবাজার, বগুলাবাজার, হকনগর বাজার, চৌধুরীপাড়া বাজার, বাঁশতলা চৌধুরীপাড়া শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়, বড়খাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ইসলামপুর ছিদ্দিকিয়া দাখিল মাদরাসা, কলাউরা ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসাসহ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে আনাগোনা করতে হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ কলোনী গ্রামবাসীকে। বর্ষাকালে ছোট্ট ডিঙি নৌকা, কলাগাছের ভেলা এবং হেমন্তে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পাহাড়ি খরস্রোতা ওই নদী পার হতে গিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ গ্রামীণ জনপদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ কৃষকরা প্রায়ই দূর্ঘটনার শিকার হন। এ অবস্থায় দৃশ্যত মনে হয়, জনপ্রতিনিধিসহ কেনো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের যেন কস্মিনকালেও আগমন (পদচারণা) ঘটেনি সবদিকে পিছিয়ে পড়া ওই এলাকায়।

তাই বহুল প্রত্যাশিত ওই ব্রিজটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়নে স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং এলাকার প্রবাসীসহ বিত্তবানদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছেন অবহেলিত কলোনী গ্রামবাসী।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১২ ডিসেম্বর ২০১৯/টিআই/পিডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন