আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

১০ বছর পর নিজ হাতে শহিদমিনার পরিষ্কার করলেন সাংবাদিক ইমরান

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০২-২৪ ১৩:৩৭:২৪

সিলেটভিউ ডেস্ক :: ১০ বছরের ঝোপঝাড়ের ঢাকা পড়া শহীদ মিনার ঝঞ্জাটমুক্ত করল সাংবাদিকের পরিবার। প্রায় ১০ বছর আগে শহীদ মিনার নির্মিত হয়েছিল মিরাপাড়া গ্রামে। নির্মাণের পর থেকে শহীদ মিনারটি অরক্ষিত ছিল। ঘাঁস-লতা পাতায় ঢাকা পড়ে সেটি। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে শহীদ মিনাণের অস্তিত্ব বিলীনের পথে ছিল। গত ২১ ফেব্রুয়ারি মিনারটি পরিস্কার করে তাতে সাংবাদিকের পারিবার থেকে প্রথম ফুল দেয়া হয়।

২০১০ সালে সিলেট সদর উপজেলার ৫নং টুলটিকর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দিন বাবুল শহীদ মিনারটি নির্মাণ করেন। শহীদ মিনার নির্মাণের পর এলাকা থেকে সেটি রক্ষণাবেক্ষণ বা তাতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়নি। এমনকি সরকারি বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানই শহীদ মিনার রক্ষণাবেক্ষণে আগ্রহ দেখাননি। পরিত্যক্ত ছিল শহীদদের স্মৃতির মিনার। টুলটিকর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে মিরাপাড়া আব্দুল লতিফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্বপাশে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই বিদ্যালয় থেকেও শহীদ মিনারে ফুল দেয়নি কেউ। অবশেষে সেটির প্রতি চোখ পড়ে সাংবাদিকের পরিবারের।

সাংবাদিক ইমরান আহমদের কন্যা মাইমুনা ইমরান মুন হাজী শফিক হাইস্কুলের অস্টম শ্রেণির ছাত্রী। মিরাপাড়া আব্দুল লতিফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে পড়ে ইমরান আহমদের আরেক পুত্র মুমিনুল ইমরান ঈশান। তারা দুজনে এবার বায়না ধরে বাড়ির পাশের শহীদ মিনারে ফুল দেবে। তাদের উৎসাহে ইমরান আহমদ প্রথমে শহীদ মিনার পরিস্কার করে পরে সন্তানদের নিয়ে সেটিতে শুক্রবার সকালে পারিবারিকভাবে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।

দৈনিক মানবকন্ঠের সিলেট প্রতিনিধি ও শুভ প্রতিদিন পত্রিকার মফস্বল সম্পাদক ইমরান আহমদ জানান, শহীদ মিনারটি আমার বাড়ির পাশে। আমার স্মরণে ছিল না এটির কথা। আমার সন্তারেনা চোখ খুলে দিল। তাই এবার শহীদ মিনার পরিস্কার করে পারিবারিকভাবে প্রথম পুষ্পস্তবক অর্পণ করলাম। আশা করি আমাগীতে এলাকার লোকজনকে নিয়ে সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০/ইআ/ডিজেএস

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন