আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং

ফেঞ্চুগঞ্জ সারকারখানা এলাকায় মাদকদ্রব্যের ছড়াছড়ি

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০২-২৪ ১৩:৪৯:২১

ফরিদ উদ্দিন ফেঞ্চুগঞ্জ, প্রতিনিধি :: ফেঞ্চুগঞ্জ সারকারখানা এলাকায় এখন হাত বাড়ালেই মিলছে সমাজবিধ্বংসী সব ধরনের মাদকদ্রব্য- এমন অভিযোগ এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের।

জানা গেছে, ফেঞ্চুগঞ্জ সারকারখানা সংলগ্ন মনিপুর চা বাগান থেকে সন্ধ্যার পর \\\'বাংলা মদ\\\" আসে কারখানা এলাকায়। সারকারখানা বাজারের \\\'মুরগী আটা\\\' এবং পার্শ্ববর্তী দোকানের পাশে গোপনে বিক্রি হয় মাদকদ্রব্য। কখনো সারকারখানা এমপ্লয়িজ ক্লাবের পিছনেও গোপনে বিক্রি হয় এসব।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন চা শ্রমিক সারকারখানার আনসার ক্যাম্পের সদস্য জানান, শ্রমিক লীগের নাম ভাঙিয়ে কয়েকজন যুবক আড্ডায় মেতে উঠেন এমপ্লয়িজ ক্লাবের আশে পাশে। তাদের আড্ডা চলাকালীন অবস্থায় গাঁজার গন্ধে সয়লাব হয় চারপাশ। কেউ বাঁধা দিতে গেলেই মাদকসেবী ও বিক্রেতাদের আক্রোশের শিকার হতে হয়। 


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সারকারখানা এমপ্লয়িজ ক্লাবের বিভিন্ন রুমে ক্রাম বোর্ড খেলার নামে হয় গান বাজনার আড্ডা।
এলাকার সারোয়ার, সুমন ও হিরা জানান- ক্লাবের পিছনে প্রতি রাতেই হয় ফেন্সিডিল সেবন। সারকারখানার কয়েকজন চাকরিজীবিকেও এসব জায়গায় দেখা যায়। এখানে রাত আটটার পর বসে মাদসেবীদের আসর।
সারকারখানার পুরোনো কিন্ডার গার্টেন স্কুল, ঈদগাহের পাশেও গিয়ে দেখা যায়- ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে হিরোইন সেবনের ফয়েল পেপার।


সারকারখানার পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, পরিষ্কার কার্যক্রমের সময় তারা প্রায়ই ফেন্সিডিল এবং ঘুমের সিরাপের বোতলসহ মাদক সরঞ্জাম পান।


সারকারখানা আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী রুহুল আমিন জানান, এলাকা পুরো নষ্ট হয়ে গেছে। ক্লাবঘর তো না, এটা যেন এখন মাদকসেবীদের আশ্রয়স্থল। 


এ ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, মাদকের ব্যাপারে আমরা সব সময় জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করি। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। সারকারখানা এলাকার তথ্য এখন জানলাম, খোঁজ নিয়ে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে। 



সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০/এফ.ইউ/ডালিম

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন